বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘নিহত’ যুবক আদালতে: আট পুলিশকে তলব

  •    
  • ২ অক্টোবর, ২০২০ ২০:২১

অভিমান করে ঘর ছেড়েছিলেন মামুন নামে একজন। তবে পুলিশ অভিযোগপত্রে ছয় জনের বিরুদ্ধে হত্যার পর শীতলক্ষ্যায় মরদেহ ফেলে দেওয়ার ‘প্রমাণ’ উপস্থাপন করে। সিআইডিও মামুনকে অপহরণের প্রমাণ পাওয়ার কথা জানায়। আট পুলিশ কর্মকর্তাকে এখন তদন্ত নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে সাত দিনের মধ্যে।

মামুন নামে এক যুবককে খুন এবং অপহরণের ভুয়া অভিযোগ এনে ছয় জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দেয়ার ঘটনায় পুলিশের আট কর্মকর্তাকে তলব করেছে নারায়ণগঞ্জের একটি আদালত।

এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর বৃহস্পতিবার বিকালে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আফতাবুজ্জামানের এই নির্দেশ দেন। মামলার এজাহার থেকে অভিযোগপত্র পর্যন্ত থানা পুলিশ ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির যে আট কর্মকর্তা তদন্ত করেছেন তাদেরকে সাত দিনের মধ্যে লিখিত বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ সিআইডির বিশেষ পুলিশ নাসির উদ্দিন নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  এই মামলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তদন্ত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এসআই মিজানুর রহমান, এস আই সফিকুর রহমান, এস আই আশরাফুল ইসলাম, পুলিশ পরির্দশক মোহাম্মদ আফজাল হোসেন তালুকদার, নারায়ণগঞ্জ সিআইডির এসআই জিয়াউদ্দিন উজ্জ্বল ও আরও দুই জন কর্মকর্তা।

চার বছর আগে মামুন নামে এক যুবককে অপহরণ করে হত্যার অভিযোগে ফতুল্লা থানায় মামলা করেছিলেন তার বাবা। প্রথমে তদন্ত করে ছয় জনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে আদালতে প্রতিবেদন দেন ফতুল্লা থানার এস আই মিজানুর রহমান।

আরও পড়ুন: পুলিশের তদন্তে খুন, আদালতে হাজির ‘নিহত’

কীভাবে হত্যা করা হয়েছে, আদ্যোপান্ত বর্ণনা উঠে আসে তদন্ত কর্মকর্তার জমা দেয়া সেই তদন্ত প্রতিবেদনে। বলা হয়, আসামি আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজি। পুলিশ আদালতে ‘চাক্ষুষ সাক্ষীও’ হাজির করে। বিচারককে তিনি জানান তার চোখের সামনে ‘কীভাবে ঘটনা ঘটিয়েছেন আসামিরা’। 

এই ঘটনায় একজন নারীসহ নির্দোষ ছয় জনকে কারাগারে থাকতে হয়েছে বিভিন্ন মেয়াদে। রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগও উঠেছে। 

ফতুল্লা থানা পুলিশের পর মামলাটি তদন্ত করে গোয়েন্দা পুলিশ। তারাও খুনের বিষয়টি নিশ্চিত হলেও মরদেহ খুঁজে পায়নি। পরে মামলাটি তদন্ত করে সিআইডি। আরও ২৩ মাস তদন্ত শেষে তারাও আদালতের কাছে অপহরণের প্রমাণ হাজির করে প্রতিবেদন দেয়। শুরু হয় বিচার।

তবে যাকে খুন করার অভিযোগ, সেই মামুনের আসলে কিছুই হয়নি। তিনি অভিমান করে পালিয়ে গিয়েছিলেন। আর অভিমান কাটলে কয়েক বছর পর ঘরে ফেরেন।

শুনানি চলাকালে মামুন নিজেই বুধবার হাজির হন বিচারকের সামনে। শুরু হয় বাদী ও বিবাদী পক্ষের হট্টগোল। পরিস্থিতি শান্ত করেন আইনজীবীরা। মামুন জানিয়েছেন, বাবা মায়ের সঙ্গে অভিমান করে তিনি বাড়ি ছেড়েছিলেন। 

আগস্টের শেষেও এমন একটি ঘটনা ঘটে নারায়ণগঞ্জেই। তদন্ত কর্মকর্তা নিজে এখন তদন্তের মুখে। গত ৪ জুলাই একটি কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ এনে মামলার পর পুলিশ রকিব, খলিল ও আব্দুল্লাহ নামে তিন জনকে গ্রেফতার করে।

তারা আদালতে মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করেন। তবে গত ২৩ আগস্ট কিশোরীটিকে ফিরে পায় তার পরিবার। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় তুমুল আলোচনা। জামিনে মুক্তি পেয়ে যুবকরা জানান, তাদেরকে রিমান্ডে পেটানো হয়েছে। নির্যাতন থেকে বাঁচতেই পুলিশের শিখিয়ে দেয়া কথা আদালতে বলেন।

এই দুটি ঘটনায় পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে নানা কথা হচ্ছে। পুলিশ আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে যেনতেন উপায়ে তার জবানবন্দি নিয়ে অনুসন্ধান শেষ করে কি না, এই বিষয়টি এখন প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর