বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) পরিচালক বিজ্ঞানী তমাল লতা আদিত্যর শেষকৃত্য হয়েছে যশোরের মনিরামপুরে। বৃহস্পতিবার বিকেলে মনিরামপুরের শ্বশুরবাড়িতে শেষকৃত্য হয়।
বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে হৃদরোগে মারা যান ৫৩ বছর বয়সী এই বিজ্ঞানী।
তমাল লতা ২০১৭ সালের ২ অক্টোবর থেকে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালকের (গবেষণা) দায়িত্বে ছিলেন। ধান নিয়ে নিরলস গবেষণার কারণে তিনি ‘ধানকন্যা’ হিসেবে পরিচিতি পান।
ব্রি ধান ৫৭, ব্রি ধান ৫৮ সহ ১০ ধরনের ধানের জাত উদ্ভাবনে তমাল লতা সরাসরি জড়িত ছিলেন। এছাড়া আরও পাঁচ ধরনের জাত উদ্ভাবনে তার অবদান রয়েছে। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গবেষণা জার্নালে তার ৩০টির বেশি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
তমাল লতা ২০১৪ সালে ব্রির সেরা বিজ্ঞানী পুরস্কারসহ বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছেন। তার নেতৃত্বে ব্রির উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ ২০১৭ সালে 'বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার' পায়।
এ বছর আন্তর্জাতিক নারী দিবসে ‘জয়া আলোকিত নারী ২০২০’ সম্মাননায় ভূষিত হন তমাল লতা।
তমাল লতা আদিত্য ১৯৬৭ সালের ৩১ অক্টোবর ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার কুণ্ডল বালিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবার নাম মৃত্যুঞ্জয় আদিত্য এবং মা সুনীতি রাণী আদিত্য।
তিনি ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি এবং ১৯৯৬ সালে কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ২০০২ সালে ইম্পেরিয়াল কলেজ, লন্ডন থেকে উদ্ভিদ প্রজনন এবং বায়োটেকনোলজি বিষয়ে পিএইচডি করেন।
তমাল লতার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।