বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাসতে হাসতে আদালত ছাড়লেন রিফাত ফরাজী

  •    
  • ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ২০:৪১

বরগুনায় রিফাত শরীফকে হত্যার সময় হামলাকারীরা যে বেপরোয়া মনোভাব দেখিয়েছিলেন, তার আরেকটি প্রকাশ দেখা গেল মামলার রায়ের পরও।

ফাঁসির রায় শুনে আদালতে কেঁদেছেন আসামির স্বজনরা। কিন্তু ভ্রুক্ষেপ ছিল না প্রধান আসামি রিফাত ফরাজীর। তিনি আদালত থেকে বের হয়েছেন হাসতে হাসতে।

রায়ের পর বেলা তিনটার দিকে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিদের কারাগারে নেয়া হয় প্রিজনভ্যানে করে। এ সময় শুধু আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন ছাড়া সাজাপ্রাপ্ত বাকি সবাই নির্বিকার ছিলেন। আর হাসি মুখে কথা বলেন রিফাত।

সকাল থেকেই আদালত এলাকায় রায় শোনার জন্য অপেক্ষমান ছিলেন আসামিদের স্বজনরাও। বিচারক প্রাণদণ্ড দেওয়ার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন তাদের কয়েকজন।

তবে যাকে ফাঁসিতে ঝোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেই রিফাত ফরাজীর প্রতিক্রিয়া ভিন্ন। রায়ের পর হাসতে হাসতে আদালত থেকে বেরিয়ে প্রিজনভ্যানে ওঠেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সব আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিলাম। অতীতে যা হয়েছে তা আল্লাহ করেছেন আর ভবিষ্যতে যা হবে সেটাও আল্লাহই করবেন।’

বুধবার বরগুনার জনাকীর্ণ এক আদালতে বহুল আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। যাকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ ছিল সেই আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ প্রাণদণ্ড হয়েছে ছয় জনের।

এই মামলার প্রধান আসামি ছিলেন নয়ন বন্ড নামে এক তরুণ। পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে তিনি নিহত হওয়ার পর প্রধান আসামি করা হয় রিফাত ফরাজীকে।

সকালে রিফাতদেরকে নিয়ে আদালতে আসে পুলিশ। বিচারক সংক্ষিপ্ত রায় পড়ে ঘোষণা করেন দণ্ড।

২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনায় প্রকাশ্য রাজপথে রিফাত শরীফকে ঘিরে ধরে যেভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তা দেখে হতভম্ভ হয়েছে মানুষ। পরে পুলিশের তদন্তে জানা যায়, অভিযুক্তরা কোনো কিছুর পরোয়াই করতেন না। এলাকায় তারা এক ধরনের ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছিলেন সন্ত্রাসী আচরণে।

এ বিভাগের আরো খবর