সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ধর্ষণের মামলায় ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমান ও অর্জুন লস্করকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।
সোমবার সিলেট মহানগর হাকিম দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান দু্ই আসামিকে রিমান্ডে পাঠান। খবর ইউএনবির।
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বেলা ১১টা থেকে আদালত এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে পুলিশি পাহারায় প্রিজনভ্যানে করে ১১টা ৪০ মিনিটে সাইফুর ও অর্জুনকে আদালতে নিয়ে আসা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরাণ থানার ওসি (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য দু্ই আসামির সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ড দেন বলে জানান সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী।
রোববার সকালে সাইফুর ও অর্জুনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সাইফুরকে সুনামগঞ্জের ছাতক সীমান্ত এলাকা থেকে এবং অর্জুনকে হবিগঞ্জের মাধবপুর থেকে ধরা হয়। তারা ভারতে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন।
গত শুক্রবার রাত আটটার দিকে এমসি কলেজ এলাকায় স্বামীকে নিয়ে বেড়াতে যাওয়া এক তরুণীকে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
ওই রাতেই তরুণীর স্বামী সিলেটের শাহ পরান থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ এবং তিন জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: এমসি কলেজে ধর্ষণ, আরও একজন গ্রেফতার
যাদের নাম আছে তারা হলেন সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, অর্জুন লস্কর, মাহফুজুর রহমান মাসুম, রবিউল ইসলাম ও তারেকুল ইসলাম।
এদের মধ্যে চারজনসহ মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কচুয়া নয়াটিলা থেকে রোববার রাতে ধরা হয় রাজন নামে একজনকে। তিনি অজ্ঞাত আসামিদের একজন বলে জানিয়েছে র্যাব। এর আগে রাত ১০টার দিকে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার হন আসামি রবিউল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ভারতে পালাতে চেয়েছিলেন সাইফুল ও অর্জুন
হবিগঞ্জ সদর থেকে ধরা পড়েছেন মামলার দ্বিতীয় আসামি শাহ মাহবুবুর রহমান রনি।
মাহফুজুর রহমান মাসুম ও তারেকুল ইসলামকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আটক করা যায়নি।