সিলেটের এমসি কলেজে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে সুনামগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যতম আসামি অর্জুন লস্করকে গ্রেফতার করা হয়েছে হবিগঞ্জ থেকে। তারা দুজনই ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
রোববার দুপুরে ছাতক উপজেলা নোয়ারাই এলাকা থেকে আটক করা হয় সাইফুরকে। তিনি ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত। তার বাড়ি সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার চান্দাইপাড়া গ্রামে।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, দোয়ারাবাজার সীমান্ত হয়ে ভারত পালাতে চেয়েছিলেন সাইফুর। ভোরে তিনি নোয়ারাই এলাকায় সুরমা নদীর খেয়াঘাটে যান।
তিনি আরও জানান, ‘ছবিতে সাইফুরের দাঁড়ি ছিল। তিনি দাঁড়ি কেটে মুখে মুখোশ লাগিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। সাইফুরকে পালাতে কেউ সহায়তা করেছেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
রোববার ভোর ৬টার দিকে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার দূর্বলপুর গ্রাম থেকে অর্জুনকে গ্রেফতার করে সিলেট জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন জানান, অর্জুন মাধবপুর উপজেলার মনতলা সীমান্ত দিয়ে ভারত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
আসামি সাইফুর ও অর্জুনকে সিলেট শাহপরান থানা পুলিশের কাছে দেয়া হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সিলেট মহানগর হাকিম তৃতীয় আদালতে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন তরুণী। বিচারক শারমিন খানম নিলা তার বক্তব্য শোনেন।