বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনার টিকার সমান প্রাপ্তি নিশ্চিতের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ২১:৩৬

বিশ্বের সব দেশে করোনাভাইরাসজনিত রোগের (কোভিড-১৯) টিকা সময়মতো ও একসঙ্গে যাওয়া নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার রাতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনে দেওয়া ভার্চুয়াল ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান। 

করোনার টিকাকে বৈশ্বিক সম্পদ বিবেচনা করা দরকার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আশা করা হচ্ছে বিশ্ব শিগগিরই কোভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন পাবে। এই ভ্যাকসিনকে বৈশ্বিক সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা প্রয়োজন।’

টিকার সমান প্রাপ্তি নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ প্রমাণ করেছে আমাদের সকলের ভাগ্য একই সূত্রে গাঁথা। কাজেই সকল দেশ যাতে এই ভ্যাকসিন সময়মতো এবং একইসঙ্গে পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।’

আগে ধারণ করা ভাষণে শেখ হাসিনা দেশের ওষুধ শিল্পের অবকাঠামোগত সক্ষমতার বিষয়টি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘কারিগরি জ্ঞান ও মেধাসত্ব প্রদান করা হলে এই ভ্যাকসিন বিপুল পরিমাণে উৎপাদনের সক্ষমতা বাংলাদেশের রয়েছে।’

মহামারী নিরসনে বাংলাদেশের উদ্যোগ ও এজেন্ডা-২০৩০ অর্জনে প্রচেষ্টা সমানতালে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। 

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের দ্বিতীয় ভলান্টারি ন্যাশনাল রিভিউ রিপোর্ট উপস্থাপন প্রমাণ করে যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে আমরা যথাযথভাবে এগিয়ে চলেছি।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলায় ভাষণ দেন।

কোভিড-১৯-এর কারণে জাতিসংঘের ইতিহাসে এই প্রথম নিউইয়র্কের সদর দপ্তরে সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের অনুপস্থিতিতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

শেখ হাসিনা মহামারী কার্যকরভাবে মোকাবিলায় সঠিক নেতৃত্বের নির্দেশনায় ‘সম্মিলিত ব্যবস্থা’ নেয়ারও আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ যেমন জাতিসংঘ সৃষ্টির মাধ্যমে বিশ্বের সকল দেশের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের ওপর গুরুত্বারোপের সুযোগ সৃষ্টি করেছিল, তেমনি এই মহামারী আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সঠিক নেতৃত্ব প্রদানের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি সামনে নিয়ে এসেছে।’

করোনাভাইরাস সবাইকে অনেকটাই ঘরবন্দি করে ফেলেছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা কেউই সুরক্ষিত নই, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা সকলের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারছি। এর প্রভাবে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পাশাপাশি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ সূত্র: বাসস

এ বিভাগের আরো খবর