বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্লাসফেমি আইন বাতিলে পাকিস্তান দূতাবাসকে স্মারকলিপি

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৫:৪৩

পাকিস্তানে ধর্মীয় অবমাননার শাস্তি দিতে করা ব্লাসফেমি আইন বাতিলের দাবিতে ঢাকায় বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশন। এই দাবিতে ঢাকায় দেশটির দূতাবাসকে স্মারকলিপিও দিয়েছে সংগঠনটি।

বুধবার সকালে গুলশানে পাকিস্তান দূতাবাস অভিমুখে মিছিল নিয়ে যায় সংগঠনটি। তবে তাদের গুলশান-২-এর গোলচত্বরে আটকে দেয় পুলিশ। স্মারকলিপিটি দূতাবাসে দেওয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

সংগঠনের সভাপতি নির্মল রোজারিও নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পুলিশ আমাদের দূতাবাসে যেতে না দিয়ে ডিপ্লোম্যাটিক জোনের উপ পুলিশ কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে বলেন। তারা তা দূতাবাসে পৌঁছে দেবে বলে জানিয়েছে।’

ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা তাদেরকে বলেছিলাম, ডিপ্লোম্যাটিক ডিভিশনের ডিসি মহোদয়ের কাছে স্মারকলিপি পৌঁছে দিতে। তিনি তা পাকিস্তান হাইকমিশনে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করবেন। তারা আমাদের গাইডলাইন ফলো করেছেন।’

সভাপতি নির্মল রোজারিও বলেন, পাকিস্তানে ব্লাসফেমি আইনের আওতায় খ্রিষ্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিপীড়ন ও হয়রানির করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে তারা এই কর্মসূচি পালন করেছেন।

কর্মসূচিতে আরও অংশ নেন সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রদূত নিমচন্দ্র ভৌমিক, পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি নির্মল চ্যাটার্জী, বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভান্তে সুনন্দ প্রিয় ভিক্ষু, আহমদিয়া মুসলিম জামাতের সভাপতি তাবসির আহমেদ।

পাকিস্তানে ব্লাসফেমি বা ধর্ম অবমাননার অভিযোগ খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। এই আইনে মৃত্যুদণ্ডের ঘটনা নতুন নয়। অভিযুক্তরা প্রায়ই ন্যায়বিচার না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। 

সম্প্রতি আসিয়া বিবি নামে এক খ্রিস্টান নারীর মৃত্যুদণ্ড বাতিলের রায়ের পর পাকিস্তানে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। 

প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝগড়ার সময় ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ছিল ওই নারীর বিরুদ্ধে। ২০১০ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তবে গত নভেম্বরে সে সাজা বাতিল করে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট তা বাতিল করে দেয়।

পরে হুমকির মুখে আসিয়া বিবি পাকিস্তান ছাড়েন। তাকে আইনি সহায়তা দেওয়া আইনজীবীও নিজ দেশে থাকতে পারেননি হত্যার হুমকি পেয়ে।

গত ডিসেম্বরে পাকিস্তানে একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককেও এই আইনে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তার পক্ষে আইনি লড়াই চালানোয় একজন আইনজীবীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর