বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নীলা হত্যায় অভিযুক্ত মিজান কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য

  • ইমতিয়াজ উল ইসলাম, সাভার   
  • ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৭:০০

সাভারের পালপাড়ায় স্কুলছাত্রী নীলা রায় হত্যা মামলায় অভিযুক্ত বখাটে মিজানুর রহমানসহ কোন আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

সোমবার মিজানুরসহ তিনজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে নামে মামলা করেন নিহতের বাবা নারায়ণ রায়। এরপর থেকেই মিজানুর ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক।

এলাকাবাসী জানায়, ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান ও নাজমুন নাহার দম্পতির একমাত্র ছেলে মিজানুর। কয়েক বছর আগে মিজানুর স্থানীয় কলেজেক্স কলেজে ভর্তি হন। কিন্তু বেপরোয়া চলাফেরাসহ নানা কারণে তার লেখাপড়া হয়নি। এলাকায় মিজানুর উশৃঙ্খল যুবক হিসাবেই পরিচিত।

স্থানীয় আফরোজা বেগম জানান, ব্যাংক কলোনির একটি ভাড়া বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে থাকেন মিজানুর। তবে পালপাড়ায় তাদের নিজস্ব টিনশেডের আধাপাকা বাসা রয়েছে। নির্জন এই বাড়ি মিজানুরের সব অপরাধের আখড়া। মাদক সেবন, বিক্রির পাশাপাশি মিজানুর কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গেও জড়িত।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, এই গ্যাংয়ের নেতৃত্বে আছেন মো. সাকিব নামে এক কিশোর। মিজানুর তারই ঘনিষ্ঠ সহযোগী। এছাড়া গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্যরা হলেন সাকিবের ভাই মো. শাকিল, মো. সাগর ও মো. হানিফ। সাকিবের বাবা ছিরু মাতবর আওয়ামী লীগ কর্মী। তার পৃষ্ঠপোষকতায় মূলত বেপরোয়া গ্যাংয়ের সদস্যরা।

ছিরু মাতবরের বড় ভাই ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শহীদ জানান, সাকিব ও শাকিল তার ভাতিজা। পারিবারিক বিরোধের কারণে তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগে নেই। অনেক আগে শাকিলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিলেও তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।

নীলাকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল মিজানুরদের পালপাড়ার বাড়ির একটি কক্ষে। সোমবার ওই বাড়িতে গিয়ে একটি কক্ষের দরজায় রক্তের দাগ দেখা গেছে। অন্য দুটি কক্ষে পড়েছিল মাদক সেবনের সরঞ্জাম। এলাকাবাসী জানায়, এই বাড়িতে অপরিচিত মেয়েদের নিয়মিত আনতেন মিজানুরসহ কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।

পালপাড়া এলাকা সাভার পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, তার দলের কিছু অসাধু কর্মীর ছত্রছায়ায় এলাকায় নানা অপরাধে জড়িত কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। বিভিন্ন সময়ে অনেক উদ্যোগ নিয়েও তাদের নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি।

এদিকে, নীলা হত্যা নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি তার পরিবারের কেউ। তবে এলাকাবাসীর দাবি, নীলার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মিজানের। কিন্তু সেই সম্পর্ক বেশি দিন টেকেনি। মিজানুরের অপকর্মের কারণে সরে আসেন নীলা। এর জের ধরেই হত্যা করা হয় তাকে।

অভিযুক্ত মিজানের শাস্তি চেয়েছেন এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ, কিশোর গ্যাং ও মাদক সেবীদের দৌরাত্ম্য বাড়লেও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।

এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার পরিদশর্ক সাইফুল ইসলাম বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে পুলিশ। আর স্কুলছাত্রী নীলা হত্যা মামলার আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে। এই খুনের ঘটনায় অন্য কারও ইন্ধন আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

রোববার শ্বাসকষ্ট হলে নীলাকে হাসপাতালে নিয়ে যান তার ছোট ভাই অলক। ফেরার সময় ভয়ভীতি দেখিয়ে অলককে বাড়ি পাঠিয়ে দেন মিজান। পরে নীলাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। হাসপাতাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্য হয়।

এ বিভাগের আরো খবর