ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের একটি ক্লিনিকে সিজারের সময় নবজাতকের পেটে অস্ত্রোপচার সরঞ্জামে ক্ষত তৈরির অভিযোগ উঠেছে। চিকিৎসকের অবহেলায় এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করছেন স্বজনেরা।
এ ঘটনার পাশাপাশি অনুমোদন না থাকায় ক্লিনিকটি বন্ধ করে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আঘাত পাওয়া ওই শিশুকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
শহরের কাউতলী মোড়ের দি আল ফালাহ্ মেডিকেল সেন্টারে রোববার সকালে প্রসূতি ফারজানা আক্তারের সিজার করেন চিকিৎসক মারুফা রহমান। তিনি এই ক্লিনিকের সার্জন এবং স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ।
নবজাতকের বাবা তৌহিদুল ইসলাম জানান, দালালের প্ররোচনায় আখাউড়া থেকে স্ত্রীকে ওই ক্লিনিকে ভর্তি করান। সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে সিজার করেন ডা. মারুফা রহমান। পরে নার্সের কাছ থেকে কন্যা শিশুর পেটে ক্ষত তৈরির খবর পান। বিষয়টি তিনি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে জানান।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ক্লিনিক গেলে চিকিৎসক মারুফাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, নিয়মিত তদারকির অংশ হিসাবে ওই ক্লিনিকে দুপুরে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় শিশুর পেটে ক্ষতের বিষয়টি স্বজনদের কাছে জানতে পারেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাফফাত আরা সাঈদ। তিনি বলেন, অনুমোদন না থাকায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নির্দেশ দেয়া হয়েছে সেবা বন্ধ রাখার।
সিভিল সার্জন একরাম উল্লাহ জানান, নবজাতকের পেটে ক্ষতের বিষয়টি শুনেছেন। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।