টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ধরলার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এতে সদর, রাজারহাট, ফুলবাড়ী ও উলিপুর উপজেলায় অর্ধশত চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ।
সদর উপজেলার সারডোব বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের প্রায় ৮০ মিটার অংশ নতুন করে ধসে গেছে। প্লাবিত হয়েছে সদর ও ফুলবাড়ীর নতুন নতুন জনপদ। শত শত হেক্টর আমন জমিতে ঢুকেছে বানের জল।
এদিকে ধরলার ভাঙনে সদরের সারডোব, মোঘলবাসা, পাঁচগাছি, যাত্রাপুর ও তিস্তার ভাঙনে বজরা, থেতরাই, গুণাইগাছ এলাকায় বিলীন হচ্ছে বাড়িঘর ও ফসলি জমি। শেষ সম্বলটুকু রক্ষায় নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছে নদী তীরের মানুষ।
পাঁচগাছির কৃষক রহিম মিয়া জানান, কদিন আাগেই ঋণ নিয়ে আবাদ করেছেন। ঠিক করেছেন বসতঘর। কিন্তু আবারও বন্যা দেখা দেয়ায় পরিবার নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। আগামীর দিনগুলো কীভাবে চলবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
গুণাইগাছ এলাকার গৃহবধূ মুর্শিদা জানান, এ নিয়ে চার দফা নদী ভাঙনের শিকার তিনি। নতুন করে কোথায় বসতঘর তুলবেন সেই জায়গা পাচ্ছে না। ত্রাণ তৎপরতা শুরু না হওয়ায় ক্ষোভও জানান তিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডে নিবাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, টানা বৃষ্টির কারণে জেলার ছোট-বড় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আরও কয়েক দিন পানি বৃদ্ধির শঙ্কা রয়েছে বলেও জানান তিনি।