পড়ালেখা শেষ করার ইচ্ছা ছিল শাহিনা আক্তারের। স্বপ্ন দেখতো গ্রামের পিছিয়ে পড়া মেয়েদের মধ্যে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেয়ার। কিন্তু সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এক পর্যায়ে বাধা হয়ে দাঁড়ায় পরিবার। জোর করে তাকে বিয়ে দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়।
বিষয়টি বুঝতে পেরে ঘর ছাড়ে শাহিনা। আশ্রয় নেয় সহপাঠীর বাসায়। সেখান থেকে যোগাযোগ করে পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে। তার সহযোগিতায় এ যাত্রায় বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পায় হাতীবান্ধা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী শাহিনা আক্তার।
কৌশলে বিয়ে ঠেকানোর এই ঘটনা লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের উত্তর ধুবনী গ্রামের। এই গ্রামের কৃষক সাইরুদ্দিনের বড় মেয়ে কিশোরী শাহিনা।
রবিবার সকালে মোবাইলে খবর পেয়ে প্রথমে তাকে সহপাঠীর বাসা থেকে উদ্ধার করে ওসি এরশাদুল আলম ও ইউএনও সামিউল আমিন। পরে ইউএনও নিজেই তার গাড়িতে করে শাহিনাকে নিয়ে তার বাড়িতে হাজির হন। এ সময় তার বাবা সাইরুদ্দিনের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে শাহীনাকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আইয়ুব আলীর জিম্মায় দেন।
হাতীবান্ধার ইউএনও সামিউল আমিন নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোরকে বলেন, খবর পাওয়া মাত্র ওই ছাত্রীর স্কুল শিক্ষকের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার পরিবারকে বাল্য বিয়ের কুফল সম্পর্কে অবগত করি। শাহিনার মা-বাবা মুচলেকা দিয়েছেন ১৮ বছরের আগে মেয়ের বিয়ে দেবেন না