নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রশাসনের করা তদন্ত কমিটি যে তিনটি বিষয়ে কাজ করছে, তার বাইরে আরও একটি বিষয় বিবেচনায় রেখেছে ফায়ার সার্ভিস। মসজিদের নিচে গ্যাস লাইনের লিকেজ ছিল, এই বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘটনাটি নাশকতা কি না, সেটিও যাচাই করে দেখছে বাহিনীটি।
শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এই বিষয়ে কথা বলেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক সাজ্জাদ হোসাইন।
ঘটনার পর পর সম্ভাব্য কয়েকটি কারণের কথা বলা হচ্ছিল, যার একটি ছিল, মসজিদের নিচ দিয়ে গ্যাসের লাইন যাওয়া এবং সেটিতে লিকেজ থাকা। ফায়ার সার্ভিসের ডিজি জানান, মসজিদের নিচে গ্যাস লাইনে লিকেজ ছিল। ঘটনার সময় সে দিক দিয়ে গ্যাস বের হয়।
‘এছাড়া এসিতে কোনো নাশকতার বস্তু ছিল কি না, সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে’, বলেন ফায়ার সার্ভিসের ডিজি।
মসজিদে বিস্ফোরণ: প্রাথমিক তদন্তে তিন কারণ
আগের রাতে এশার নামাজের পর ফতুল্লার পশ্চিম তল্লার চামার বাড়ী এলাকায় বায়তুস সালাত মসজিদে বিস্ফোরণে ছয়টি এসি পুড়ে যায়। এতে এখন পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ২৫ জনের বেশি।
এই ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা তাহেরা ববির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে। তারা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র- এসির বিস্ফোরণ, মসজিদের গ্যাসের লাইনে লিকেজ এবং বৈদ্যুতিক সংযোগে ত্রুটি- এই বিষয়গুলোকে বিবেচনায় রেখে আগাচ্ছে।
এর পাশাপাশি তিতাস এবং ফায়ার সার্ভিস আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তারাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।