নারায়ণগঞ্জের মসজিদের বিস্ফোরণের কারণ জানতে গঠন করা তিনটি তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
কমিটির সদস্যরা বিস্ফোরিত এসি, গ্যাস লাইন ও বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন।
শুক্রবার এশার নামাজের পর ফতুল্লার পশ্চিম তল্লার চামার বাড়ী এলাকায় বায়তুস সালাত মসজিদে এই বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন অবধি ১২ জনের মৃত্যুর তথ্য মিলেছে। হাসপাতালে আশঙ্কাজনক আরও ৩৬ জন।
ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে নানা তথ্য পাওয়া যায়। এসি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলেও মসজিদের নিচ দিয়ে গ্যাসের পাইপলাইন থাকা এবং সেখানে লিকেজের তথ্য মেলে। আবার বিদ্যুৎ লাইনের ত্রুটির কথাও আসে।
শনিবার বেলা ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা তাহেরা ববির নেতৃত্বে গঠন করা কমিটির পাশাপাশি তিতাস গ্যাস ও ফায়ার সার্ভিসের কমিটি এক ঘণ্টারও বেশি সময় ঘটনাস্থলে অবস্থান করে তথ্য সংগ্রহ করে।
বিস্ফোরণের পর তাৎক্ষণিকভাবে ফায়ার সার্ভিসসের উপ পরিচালক নুর হোসেন জানান, মসজিদের বৈদ্যুতিক সংযোগে ত্রুটি ছিল। মসজিদের নিচে গ্যাস লাইনের পাইপগুলোর মধ্যেও লিকেজ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থানা পরিচালক আলী মোহাম্ম্দ আল মামুন জানান, মসজিদের নিচ দিয়ে গ্যাসের সংযোগ ছিল, এটা তারা জানতেনই না। লাইন গেছে মসজিদের পাশ দিয়ে।
শুক্রবার রাতে এশার নামাজের পর মুসুল্লিরা সুন্নাত নামাজ পড়ছিলেন। এ সময় মসজিদে থাকা ছয়টি এসি বিস্ফোরিত হয়। এতে মুসল্লিদের গায়ে আগুন ধরে যায়। অনেকের শরীরের কাঁচের আঘাত ছিল। পরে আশেপাশের লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে ৩৭ জনতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরদিন সকালে আহতদের একজন মারা যান।