উল্টো রথ টানার মধ্য দিয়ে সোমবার শেষ হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় পর্ব শ্রীশ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস- জগন্নাথ দেব হলেন জগতের নাথ বা অধীশ্বর। জগত হচ্ছে বিশ্ব আর নাথ হচ্ছেন ঈশ্বর। তাই জগন্নাথ হচ্ছে জগতের ঈশ্বর। তার অনুগ্রহ পেলে মানুষের মুক্তিলাভ হয়। জীবরূপে তাকে আর জন্ম নিতে হয় না। এ বিশ্বাস থেকেই রথের ওপর জগন্নাথ দেবের প্রতিমা রেখে রথযাত্রা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
উল্টো রথযাত্রা উপলক্ষে সোমবার বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন এবং মন্দির নানা মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সকালে বিভিন্ন মাঙ্গলিক আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠানমালা। এর মধ্যে ছিল হরিনাম সংকীর্তন, বিশ্ব শান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্রী যজ্ঞ, মহাপ্রসাদ বিতরণ, আলোচনা সভা, পদাবলী কীর্তন, আরতি কীর্তন, ভাগবত কথা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শ্রীমদ্ভাগবত গীতা পাঠ।
ইসকনসহ রাজধানীর রাম-সীতা মন্দির ও তাঁতীবাজার জগন্নাথ মন্দিরে এ উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
রাজধানী ঢাকায় আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) উল্টো রথযাত্রা উপলক্ষে সোমবার বিকেলে শোভাযাত্রা বের করে। উল্টোরথ যাত্রার উদ্বোধনী উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের মেলা প্রাঙ্গণে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
পরে এখান থেকে বর্ণাঢ্য সাজে তিনটি বিশাল রথে জগন্নাথ দেব, শুভদ্রা ও বলরামের প্রতিকৃতিসহ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রা পলাশী মোড়, জগন্নাথ হল, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট, সরকারি কর্মচারী হাসাপাতাল, বঙ্গবাজার, গুলিস্তান, বঙ্গভবন, দৈনিক বাংলা, মতিঝিল, ইত্তেফাক মোড় ও টিকাটুলি হয়ে ইসকন মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়।
সনাতনী রীতি অনুযায়ী, প্রতি বছর চন্দ্র আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে শুরু হয় জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা।
এর আগে ৭ জুলাই রথযাত্রা উৎসব শুরু হয়। ইসকন রথযাত্রা উপলক্ষে ৯ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।