ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এর সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় উপকূলীয় ছয়টি জেলার প্রশাসনকে বিশেষ প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এগুলো হলো সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা, বরগুনা, পটুয়াখালী ও ভোলা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান শনিবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। সূত্র: বাসস
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘উপকূলবর্তী সব জেলাকে ঘূর্ণিঝড়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা, বরগুনা, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলাকে বিশেষভাবে প্রস্তুত থাকার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পর্কে জানাতে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে মহিববুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের যে কোন ধরনের ধ্বংসলীলা থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে রক্ষা করতে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়টি মোকাবেলায় সার্বক্ষণিক তথ্য বিনিময়ের লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এনডিআরসিসি ২৪ ঘণ্টা খোলা রয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর উপকূলীয় জেলাগুলোতে মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ কার্যক্রম পাঠানো শুরু করেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘৭৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক কয়েকদিন ধরে মাঠে আগাম সতর্কবার্তা প্রচারসহ আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন ও প্রস্তুতের কাজ করছে। ওয়্যারলেসের মাধ্যমে সরাসরি ১৭৪টি মাঠ কার্যালয়কে সর্বোচ্চ প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সাড়া বিশ্বের রোলমডেল। গত ১৫ বছরে ঘূর্ণিঝড়সহ সব দুর্যোগে তার নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনায় আমরা যথাসময়ে প্রস্তুতি নিয়ে মানুষের দুর্দশা লাঘব এবং জীবন ও সম্পদের ক্ষতি কমাতে সক্ষম হয়েছি।
‘ঘূর্ণিঝড় রেমালও যাতে একই ধারাবাহিকতায় সফলভাবে মোকাবেলা করতে পারি তার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’