ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘রোমাল’- এমন খবরেও আশ্রয় কেন্দ্রে যায়নি কেউ। শনিবার রাত ৮টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময়ও আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে না গিয়ে মানুষজন নিজ নিজ ঘরেই অবস্থান করছিল।
বিগত কয়েকবার ৭ থেকে ১০ নম্বর সংকেত জারি হলেও শেষ পর্যন্ত ঘূর্ণঝড় আঘাত হানেনি উপকূলীয় এই জনপদে। এবারও আঘাত হানবে না- এমনটা ধারণা করে নদী-তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষেরা আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে অনীহা প্রকাশ করছেন। ভিটেবাড়ি ও গবাদিপশু ছেড়ে যাবেন না বলে নিজ নিজ ঘরেই অবস্থান করছেন এই অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষ।
শনিবার দিনভর আবহাওয়া ভালো থাকলেও সন্ধা ৭টা থেকে ঝালকাঠিতে শুরু হয়েছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। সঙ্গে থেমে থেমে ঘূর্ণি বাতাস। বৃষ্টি শুরুর পরই ছুটোছুটি করে গন্তব্যে ফিরছে শহরের মানুষ।
জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে আশ্রয়ের জন্য জেলায় ৮২৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ৬২টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে না চাইলে জোর করে নেয়া হবে। এমনটাই নির্দেশ দেয়া হয়েছে সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে।’
ঝালকাঠির পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন, ‘আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়া মানুষদের বসতঘরের মালামাল যাতে লুণ্ঠিত না হয়, সেদিকে পুলিশ কড়া নজর রাখবে।’