বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বায়ুদূষণে বদলাচ্ছে ফুলের গন্ধ

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১৪:৪৬

গবেষক জেফ রিফেল বলেন, মানুষের ক্রিয়াকলাপের ফলে সৃষ্ট দূষণ গন্ধের সংকেতের রাসায়নিক গঠনকে পরিবর্তন করছে এবং এটি এমন পরিমাণে পরিবর্তন করছে যে পরাগায়নকারীরা এটিকে আর চিনতে এবং প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে না।

বায়ুদূষণের কারণে বদলে যাচ্ছে ফুলের গন্ধ। এতে শুধু যে ফুলের সুবাস প্রেমীরাই বিরুপ পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন তা নয়, হুমকিতে পড়ছে পরাগায়নকারী পোকামাকড়ও।

ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা গবেষণার বরাতে সম্প্রতি এমন তথ্য দিয়েছে বলে সোমবার জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

গবেষকরা বলছেন, জীবাশ্ম জ্বালানির বায়ুবাহিত রাসায়নিকগুলো পরাগায়ন প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করছে, ফুলের গন্ধকে পরিবর্তন করছে, যা শুধু ফুলের গন্ধ উপভোগ করা লোকেদেরই প্রভাবিত করছে না বরং পোকামাকড়ের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য হুমকি তৈরি করছে। পোকামাকড়ের নির্দিষ্ট ফুল খুঁজে পেতে কষ্ট হচ্ছে।

গবেষক জেফ রিফেল বলেন, মানুষের ক্রিয়াকলাপের ফলে সৃষ্ট দূষণ গন্ধের সংকেতের রাসায়নিক গঠনকে পরিবর্তন করছে এবং এটি এমন পরিমাণে পরিবর্তন করছে যে পরাগায়নকারীরা এটিকে আর চিনতে এবং প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে না।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এনওথ্রি নামে পরিচিত নাইট্রেট র‌্যাডিকেল, বিভিন্ন শক্তির উৎস থেকে আসে, ঘ্রাণ-মাস্কিং ঘটনার জন্য দায়ী এগুলো।

গবেষক জেফ রিফেল বলেন, আপনি যখন একটি গোলাপের গন্ধ পান, তখন আপনি বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক দিয়ে গঠিত একটি বৈচিত্র্যময় তোড়ার গন্ধ পাচ্ছেন। অন্য যেকোনো ফুলের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য৷ একটি নির্দিষ্ট রাসায়নিক রেসিপি দিয়ে তৈরি প্রতিটির নিজস্ব ঘ্রাণ রয়েছে।

গবেষকরা কুকুরের মতো প্রাণীর সাহায্যে পতঙ্গ পরীক্ষা করেছেন তাদের ফুল শনাক্ত করার ক্ষমতা নির্ধারণ করতে। একটি পতঙ্গের জাত ৫০ ভাগই সঠিক তথ্য দিতে পারেনি। অন্যটি একটি রাতের বেলা, শহুরে পরিবেশে ফুলের উৎস খুঁজে পায়নি।

রিফেল বলেন, এনওথ্রি সত্যিই একটি ফুলের গন্ধ কমিয়ে দিচ্ছে। এর গন্ধ কতদূর যেতে পারে এবং পরাগায়নকারীকে আকর্ষণ করতে পারে সেই অবস্থা কমিয়ে দিচ্ছে। অবশ্য সূর্যের আলো এনওথ্রির শক্তি কমাতে পারে।

রিফেল উল্লেখ করেছেন, দুই লাখ ৪০ হাজারের বেশি ফুলের গাছ নিয়ে গবেষণায় দেখা গেছে, এর ৭৫ ভাগেরই পরাগায়নের পোকামাকড়ের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। সেখানে প্রায় ৭০ প্রজাতির পরাগায়ন বিপন্ন বা হুমকির সম্মুখীন।

গবেষক জোয়েল থর্নটন বলেন, কীভাবে দূষণকারীরা উদ্ভিদ-পরাগায়নকারী মিথস্ক্রিয়াকে প্রভাবিত করে এবং প্রকৃতপক্ষে অন্তর্নিহিত প্রক্রিয়াগুলো পেতে পারে সে ক্ষেত্রে আমাদের পদ্ধতি অন্যদের জন্য একটি রোডম্যাপ হিসেবে কাজ করতে পারে।

এ বিভাগের আরো খবর