বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রংপুরে দারিদ্র্য নেমেছে অর্ধেকে, বেড়েছে বরিশালে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২১:৩৮

বিবিএসের জরিপ বলছে- গত বছরের হিসাব অনুযায়ী পুরো দেশে দারিদ্র্য নেমে এসেছে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে, ৬ বছর আগে যা ছিলো ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ। আর বর্তমানে পুরো দেশে অতিদ্রারিদ্র্য নেমে এসেছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে, ২০১৬ সালে যা ছিলো ১২ দশমিক ৯ শতাংশ।

দেশের উত্তরের জনপদ রংপুরের এক সময়ের পরিচিতি ছিল মঙ্গাকবলিত এলাকা হিসেবে। সময়ের ব্যবধানে পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টে গেছে। মূলত কৃষিনির্ভর অর্থনীতি হলেও রেমিট্যান্স আর ছোট-বড় শিল্পায়নের প্রভাবে রংপুর এখন মঙ্গা থেকে বের হয়ে ছুটছে উন্নয়নের দিকে। তবে এক সময়ের শস্যভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত বরিশালে বেড়েছে দারিদ্র্য। অবশ্য সার্বিকভাবে পুরো দেশেই দারিদ্র্য কমে এসেছে।

রংপুর বিভাগের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর চিত্র এবার জায়গা করে নিয়েছে সরকারি জরিপে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-বিবিএসের খানা আয় ও ব্যয় জরিপ-২০২২ বলছে, গেল ৬ বছরে রংপুরে দারিদ্র্যের হার নেমে এসেছে অর্ধেকে। জরিপ আরও বলছে, দারিদ্র্য কমেছে পুরো দেশেই।

রাজধানীর আগারগাঁয়ে পরিসংখ্যান ভবনে বুধবার প্রকাশ করা হয় জরিপের চূড়ান্ত ফল। তাতে উঠে এসেছে রংপুর বিভাগের অর্থনৈতিক মুক্তির গল্প।

বিবিএসের হিসাব বলছে, গত ৬ বছরে রংপুর বিভাগে দারিদ্র্য নেমে এসেছে অর্ধেকে। ২০১৬ সালের জরিপে যেখানে দারিদ্র্যের হার ছিল প্রায় ৪৭ শতাংশ, তা নেমে এসেছে ২৪ দশমিক ৮ শতাংশে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তাদের মুখেও ছিলো রংপুর অঞ্চলের অর্থনীতি নিয়ে ইতিবাচক নানা গল্প।

জরিপের চূড়ান্ত ফলাফলে জানানো হয়, দারিদ্র্য কমেছে পুরো দেশেই। গত বছরের হিসাব অনুযায়ী পুরো দেশে দারিদ্র্য নেমে এসেছে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে। ৬ বছর আগে তা ছিলো ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ। অর্থাৎ ২০১৬ থেকে ২০২২ সময়ে দারিদ্র্য কমেছে প্রায় চার ভাগের এক ভাগ।

এছাড়া বর্তমানে পুরো দেশে অতিদ্রারিদ্র নেমে এসেছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে। ২০১৬ সালে তা ছিলো ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ ছয় বছরে অতিদারিদ্র্য কমেছে অর্ধেকেরও বেশি।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, অতিদারিদ্র্য কমাতে সরকারের নেয়া সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম অবদান রেখেছে। এই কার্যক্রম আরও বাড়ানোর পক্ষে মত দেন অনেক বক্তা।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গত ৬ বছরে ঢাকা, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে দারিদ্র্যের হার কিছুটা বেড়েছে। বলা হয়েছে, বর্তমানে ঢাকায় দারিদ্র্যের হার ১৭ দশমিক ৯, চট্টগ্রামে ১৫ দশমিক ৮, রাজশাহীতে ১৬ দশমিক ৭, সিলেটে ১৭ দশমিক ৪ এবং ময়মনসিংহে ২৪ দশমিক ২ শতাংশ।

বর্তমানে রংপুরকে ছাড়িয়ে দারিদ্র্য সবচেয়ে বেশি বরিশালে। যদিও বিভাগটি একসময় শস্য ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত ছিলো।

অন্যদিকে জরিপে জানানো হয়, সবচেয়ে কম দারিদ্র্য রয়েছে খুলনা বিভাগে। বিভাগটিতে দারিদ্র্যের হার কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ।

বরিশালে দারিদ্র্যের হার বৃদ্ধি পাওয়া নিয়ে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম সচিব দীপংকর রায় বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে নীতিনির্ধারকরা ভেবে দেখতে পারেন। তবে বরিশালে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি সবচেয়ে বেশি। সেখানে দারিদ্র্য কমার কথা। আবার কেউ বলতে পারেন, দারিদ্র্যের হার বেশি বলেই সেখানে সামাজিক নিরাপত্তা বেশি। এটি আপেক্ষিক বিষয়।’

অনুষ্ঠানে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমানও বিস্ময় প্রকাশ করেন বরিশালে দারিদ্যের হার বেড়ে যাওয়ায়।

তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি বেশি খুলনা জেলায়। সেখানে দারিদ্র্যের হার বেশি হারে বাড়ার কথা। অথচ পাশের বিভাগে দারিদ্র্য সবচেয়ে বেশি।

‘দারিদ্র্য কমানোর প্রক্রিয়ায় দারিদ্র্য সীমার উপরে থাকা জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা বেশি জরুরি। কারণ হঠাৎ যেকোনো ধরনের আঘাতে তারা দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যেতে পারেন।’

তাদের সুরক্ষা দিতে পারলে দারিদ্র্য বিমোচন টেকসই হবে বলেও মত দেন এই অর্থনীতিবিদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান থাকার কথা থাকলেও তিনি আসতে পারেননি। তবে দারিদ্র কমা নিয়ে স্বস্তির ভিডিও বার্তা দেন এম পরিকল্পনামন্ত্রী।

এ বিভাগের আরো খবর