রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) চত্বরের ভেতরের পূজা মন্দিরে মা দুর্গার বোধন ও রোবটিক দুর্গা প্রতিমা দেখতে ভিড় করেছেন ভক্ত ও দর্শনার্থীরা। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই এখানে মানুষের ভিড় বেড়েছে।

সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় মঙ্গল প্রদীপ জ্বেলে দেবীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে মণ্ডপে স্থাপনের মধ্যে দিয়ে দুর্গা পূজা মহাষষ্ঠী শুরু হয়েছে। এপার বাংলা ওপার বাংলার মন্দিরে মন্দিরে দেবীর বোধন হয়েছে এদিন। একই সঙ্গে সারা দেশের পূজা মন্দিরে দেবীকে স্থাপন করা হয়েছে।

পূজায় রাজধানীসহ সারা দেশেই উৎসবের আমেজ দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে প্রতিমা দেখতে মন্দিরে মন্দিরে ভিড় করছেন মায়ের ভক্ত ও দর্শনার্থীরা। কেআইবি চত্বরের মন্দিরে সনাতন সমাজ কল্যাণ সংঘের আয়োজনে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ, লাভ ফর ন্যাচার’ স্লোগানকে সামনে রেখে পূজা মণ্ডপ ও প্রতিমা সাজানো হয়েছে।

এই মন্দিরের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ রোবটিক দুর্গা প্রতিমা। মহিষাসুর বধের সচল চিত্র তুলে ধরা হয়েছে এই প্রতিমার মধ্য দিয়ে। মন্দির সাজাতে ব্যবহার করা হয়েছে বাঁশ ও শীতল পাটি। এ ছাড়া লাইটিংয়ের মাধ্যমে সাজসজ্জাও করা হয়েছে।

রোবটিক প্রতিমায় দেখা যায়, মা দুর্গা যখন ত্রিশূল দিয়ে মহিষাসুরকে বধ করেন, তখন মহিষাসুর তীব্র যন্ত্রণায় মা দুর্গার কাছে দুই হাত তুলে ক্ষমা চায়। তখন মা দুর্গা তার মুখ দিয়ে বলবেন, ‘যুগে যুগে আসুরিক শক্তি দমনে আমার এই জগতে আগমন।’ সঙ্গে ব্যকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজে।

এই মন্দিরে পূজা দেখতে স্ত্রী ও দুই বাচ্চাসহ এসেছেন প্রদীপ সরকার। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, মায়ের বোধন দেখতে পরিবার নিয়ে এসেছি পূজা দেখতে। এখানের পরিবেশ ভালো। এছাড়া রোবটিক দুর্গা প্রতিমা এই প্রথম দেখলাম তাই ভালোই লাগছে। বাচ্চা দুইটাও খুব আনন্দ পেয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া কয়েকজন তরুণ-তরুণী মিলে এসেছেন এই মন্দিরে পূজা দেখতে। তাদের একজন হাসান বাপ্পি বলেন, শুনলাম এই মন্দিরে রোবটটি প্রতিমা করা হয়েছে। তাই বন্ধুরা মিলে দেখতে আসলাম। নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে।

এই পূজা মণ্ডপে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মোমিন নিউজবাংলাকে বলেন, সন্ধ্যার পর থেকেই মানুষের ভিড় বেড়েছে। এক দিক দিয়ে মানুষ ঢুকছেন, প্রতিমা দেখে অন্য দিক দিয়ে বের হচ্ছেন। কোনো সমস্যা নেই।

রোবটিক দুর্গার বিষয়ে সনাতন সমাজ কল্যাণ সংঘের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ নিউজবাংলাকে বলেন, মহিষাসুর বধের দৃশ্যটাকে আমরা সচলরূপে তুলে ধরেছি। পড়ে শেখার থেকে দেখে শিখলে হৃদয়ে ধারণ হয় বেশি। সেই চিন্তা থেকে চাক্ষুস দেখানোর জন্য এবার আমরা রোবটিক সিস্টেমের আয়োজন করেছি।

তিনি বলেন, দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে মহাষষ্ঠী শুরু হয়েছে। সন্ধ্যা থেকেই মন্দির ভিড় বেড়েছে।