বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আজ ‘অফিসের বসকে জড়িয়ে ধরা দিবস’

  •    
  • ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১১:৪১

ঘরের বাইরে একজন কর্মজীবী সবচেয়ে বেশি সময় যেখানে কাটান সেটা হলো তার অফিস। কাজের উন্নয়নের জন্য অফিসের বস, সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হওয়াটা বেশ দরকার স্বাভাবিকভাবেই।

ইংরেজিতে এমএ পাস করা মেধাবী তরুণ জীবনানন্দ দাশকে একটা যুতসই চাকরির জন্য ঘুরতে হয়েছে বহুদিন। ‘হাজার বছর ধরে’ পৃথিবীর পথে পথ হাঁটা এই কবি তাই হয়তো ‘সাতটি তারার তিমির’ কাব্যগ্রন্থে ‘সৃষ্টির তীরে’ কবিতায় লিখেছিলেন ‘মানুষেরই হাতে তবু মানুষ হতেছে নাজেহাল; পৃথিবীতে নেই কোনো বিশুদ্ধ চাকরি।’

কবিজীবন যাপন করা কেউ তো বটেই, যারা কবি নন তারাও বোধহয় এই বাক্যের অর্থ বোঝেন ঠিকঠাক। চাকরি! আহা! সে এক দীর্ঘশ্বাস! তবু জীবনকে টিকিয়ে রাখতে অর্থ জোগাড়ের যে পথ, সেই পথের নাম চাকরি। এ জন্যই ঘুম থেকে উঠে সকাল সকাল মানুষ ছুটতে শুরু করে অবিরত।

ঘরের বাইরে একজন কর্মজীবী সবচেয়ে বেশি সময় যেখানে কাটান সেটা হলো তার অফিস। কাজের উন্নয়নের জন্য অফিসের বস, সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হওয়াটা বেশ দরকার স্বাভাবিকভাবেই।

সহকর্মীরা যেমন সবসময় আশপাশে থাকেন, হয়তো বস সবসময় তেমন সামনে থাকেন না। তবু কার্যত সব সিদ্ধান্ত নির্ভর করে তার ওপরই। অফিসের বসকে কারো পছন্দ হতে পারে, কারো বা না-ও হতে পারে। তবু শেষ পর্যন্ত কিন্তু তার সঙ্গে আলোচনাতেই আসে চূড়ান্ত ফল।

বসের সঙ্গে দূরত্ব ঘুচিয়ে এক মুর্হূর্তের জন্য হলেও ‘সামনাসামনি দাঁড়ানোার’ একটা দিবস উদযাপন হয় পৃথিবীতে। আজ ১৩ সেপ্টেম্বর সেই দিন, ‘অফিসের বসকে জড়িয়ে ধরা দিবস’।

কাজের পরিবেশ উন্নয়নে ২০০৮ সালে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম টিপটপডটকম চালু করে এই দিবস। দিবসটি উদযাপনের উদ্যোগ নেয়া ব্যক্তিদের বিশ্বাস, আপনি যদি আপনার বসকে আলিঙ্গন করে খুশি হন তবে আপনি আপনার কাজকে আরও কিছুটা উপভোগ করতে পারবেন। এটি কাজের গতি, মনোবল এবং অবশ্যই সার্বিক কাজের ক্ষেত্রে আপনাকে প্রেরণা দেবে।

ওই প্রতিষ্ঠানের বক্তব্য হলো, বস হলেন অফিসের সার্বিক দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি এবং কোম্পানির কেন্দ্র, তাই তাদের সঙ্গে সহকর্মীদের একটি দৃঢ় সম্পর্ক প্রতিষ্ঠানকে অনেক দূর নিয়ে যেতে পারে।

বসদের সঙ্গে কর্মীদের সম্পর্ক এবং কর্মক্ষেত্রে এর ফলে যে কতটা ভালো প্রভাব পড়ে, তা নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। ফলাফলগুলো বেশ গভীর। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, অফিস বা সহকর্মী সবার উন্নয়নেই কাজ করে থাকেন বস।

‘বসকে জড়িয়ে ধরা দিবস’ অফিসের উন্নয়নে আপনাকেও অংশীদার করে প্রকৃতপক্ষে। এই প্রশংসাটুকু আপনার বসের দিনকেও উজ্জ্বল করার উপায় খুঁজে বের করে।

প্রতিবেদন বলছে, বস অফিসে যে গুরুদায়িত্ব সামলে এগিয়ে যান, এর জন্য হলেও অন্তত বছরের এই দিনে তাকে আলিঙ্গন করাই যায়। এর সঙ্গে কিছুটা প্রশংসা তো তাকে করতেই পারেন।

‘অফিসের বসকে জড়িয়ে ধরা দিবস’ পালন করুন আর না করুন, চাকরি থাকা পর্যন্ত একটা কথা মনে রাখা কিন্তু খুব জরুরি, ‘বস ইজ অলওয়েজ রাইট’। অবশ্য জীবনানন্দের ‘হাজার বছর ধরে পথ হাঁটার পথ’ তো রয়েই যায় বিকল্প হয়ে।

এ বিভাগের আরো খবর