কাজের চাপ, খরচের চিন্তা, পরিবারের দায়িত্ব সব মিলিয়ে জীবন গতিময় হলেও অনেক সময় ভেতরে ভেতরে অস্থিরতা তৈরি হয় প্রত্যেকেরই।
মন ভালো করতে নিজের পছন্দের কাজ করার বিকল্প নেই। হতে পারে তা গান শোনা, কবিতা পড়া, গল্প লেখা, সিনেমা দেখা বা প্রিয় মানুষের সঙ্গে সময় কাটানো। আবার অনেকে এসবই বাদ দিয়ে নিজের পছন্দ অনুযায়ী খেতে ও ঘুরতে পছন্দ করেন।
খাবার খেলে মন ভালো হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে জানেন কি, কিছু খাবার খেলে মন খারাপ বা মন ভার হয়! মন খারাপ থাকলে যেমন আমরা অনেকেই খেতে পছন্দ করি, তেমনই কিছু খাবার আছে যেসব খেলে মন হয় খারাপ।
এসব খাবার রোজ রোজ খেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিও বেড়ে যায় বিনা নোটিশে।
চলুন চট করে চোখ বুলিয়ে নেই এমন কিছু খাবারের তালিকায়, যা আপনার মন খারাপের কারণ হতে পারে।
ভাজাপোড়াভাজাপোড়া খাবারে থাকে অধিক মাত্রার ট্রান্স ফ্যাট, যা আপনার উদ্বেগ বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই যদি আপনার উদ্বেগ বা মন খারাপের সমস্যা থেকে থাকে তবে এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলুন।
এতে যে শুধু মানসিক চাপ কমবে তা নয়, বরং এতে আপনার শারীরিক উপকারও হবে।
নোনতা জাতীয় খাবারখাবারের সঙ্গে কাঁচা লবণ বা নোনতা জাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করেন?
এতে শরীরের পাশাপাশি মনের ক্ষতি করছেন। নোনতা জাতীয় খাবারে রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়, যার ফলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। আর এতে আপনার শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যও নষ্ট হয়। ফলে স্ট্রেস হরমোন প্রভাবিত হয়। আর এর ফলস্বরূপ খারাপ থাকতে পারে আপনার মন।
মিষ্টি জাতীয় খাবারমন খারাপ হলেই যাদের আবার মিষ্টি খেতে মন চায়, তাদের জন্য দুঃসংবাদ।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, কেক, পেস্ট্রি বা এ ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে যারা পছন্দ করেন তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়।
শর্করার মাত্রা ওঠা-নামা করায় উদ্বেগও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ফলে, যাদের উদ্বেগজনিত সমস্যা আছে, তাদের এ ধরনের মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল।
ক্যাফেইনযাদের চা বা কফি খাওয়ার অভ্যাস আছে, তাদের জন্য বিভিন্ন গবেষণা দিচ্ছে খারাপ খবর। চা বা কফির ক্যাফেইন আপনাকে সাময়িকভাবে চাঙ্গা করে তুললেও এই ক্যাফেইন আপনার স্নায়ুর কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়।
পাশাপাশি এটি আপনার রক্তচাপও বাড়িয়ে দেয়।
বিভিন্ন গবেষণা বলছে, দৈনিক ৪০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন খেলে শরীরে এর কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। তবে এর বেশি ক্যাফেইন গ্রহণ করলেই দেখা দিতে পারে সমস্যা। তাই মন ভালো রাখতে চেষ্টা করুন নিজের ক্যাফেইন গ্রহণকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে।
দুধজাতীয় খাবারঅনেকেই দুধের ল্যাকটোজ হজম করতে পারেন না। এতে করে বেড়ে যায় নানা শারীরিক সমস্যা। আবার অনেকে সহজেই খেতে পারেন দুধ বা দুধজাতীয় খাবার।
তবে, ঘটনা যেটাই হোক এতে শরীর ও মনের ওপর নেতিবাচক চাপ তৈরি হতে পারে।
তাই এমন খাবার খাওয়ার বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করাই ভালো।