বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘কে প্রথম কাছে এসেছি, কে প্রথম ভালোবেসেছি’

  •    
  • ২৮ আগস্ট, ২০২৩ ১৩:৫৭

কখনও ছেলেটি মেয়েটিকে কখনও বা মেয়েটি ছেলেটিকে জানায় একে অন্যকে প্রথম দেখার অনুভূতি, না দেখার অর্থাৎ কিছু সময়ের জন্য চোখের আড়াল হলে ভেতরে ভেতরে কী বেদনা সইতে হয় সে অনুভূতিও। অবশ্য এরপর প্রেমটা হয়ে গেলে; সে পথ হয় দীর্ঘ, দীর্ঘতম।

‘কে প্রথম কাছে এসেছি, কে প্রথম চেয়ে দেখেছি, কিছুতেই পাই না ভেবে, কে প্রথম ভালবেসেছি, তুমি না অমি?’ মান্না দে ও লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া এই গানের মতো এখনও হয়তো অনেক জুটি দ্বিধায় পড়ে যায় ভালোবাসার কথা উঠলে! ভাবেন, আহা! দুটি মানুষের এক হওয়ার এই শুরুটা করেছিলেন কে?

কখনও ছেলেটি মেয়েটিকে কখনও বা মেয়েটি ছেলেটিকে জানায় একে অন্যকে প্রথম দেখার অনুভূতি, না দেখার অর্থাৎ কিছু সময়ের জন্য চোখের আড়াল হলে ভেতরে ভেতরে কী বেদনা সইতে হয় সে অনুভূতিও। অবশ্য এরপর প্রেমটা হয়ে গেলে; সে পথ হয় দীর্ঘ, দীর্ঘতম।

এক সময় প্রেমিক-প্রেমিকা হয়ে ওঠেন যেন উত্তম-সুচিত্রা। চাইলেই কোনো সুদীর্ঘ পথে রওনা হয়ে তারা গাইতে পারেন, ‘এই পথ যদি না শেষ হয়, তবে কেমন হতো তুমি বলো তো? যদি পৃথিবীটা স্বপ্নের দেশ হয় তবে কেমন হত তুমি বলতো?’ তবে এত কিছুর আগে ভালোবাসাবাসিটা হতে হবে ঠিকঠাক।

গবেষকরা বলছেন, পছন্দের মানুষকে সোজাসুজিই বলতে হয় তাকে ভালোলাগার কথা। কেউ আছেন পছন্দ ঠিকই করেন, তবে বলতে পারেন না। কেউ হয়তো দ্বিধায় থাকেন, বলবেন কীভাবে! সব সংশয় দূর করে আসলে বলে দেয়াই ভালো।

তবে এখানেও আছে আরেক মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপার। ভালোবাসার কথাটা শুরুতে বলবেন কে? কে বলবেন, কে প্রস্তাব গ্রহণ করবেন; এই হিসাব এক পাশে রেখে এক গবেষণা চালিয়েছে একটি প্রতিষ্ঠান।

সেই গবেষণা বলছে, মেয়েরা নয়, ছেলেরাই প্রথম ভালোবাসার কথা মুখে বলেন। প্রিয়জনকে জানিয়ে দেন বুকের ভেতর জমে থাকা বিষণ্নতার ছাপ, প্রকাশ্যে আনেন ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে রঙ্গিন ক্যানভাসে আঁকা কতশত ছবি।

‘স্যাজ জার্নাল অফ সোশ্যাল অ্যান্ড পার্সোনাল রিলেশনশিপ’ নামের পত্রিকায় প্রকাশিত ওই গবেষণার বরাতে নিউ ইয়র্ক পোস্ট জানিয়েছে, যে কোনো ভালোবাসার সম্পর্কে পুরুষেরাই প্রথম বলে ওঠে ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি।’

অনলাইনে হওয়া এ গবেষণায় অংশ নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, চিলি, কলোম্বিয়া, ফ্রান্স, পোল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্যের তিন হাজার প্রাপ্তবয়স্ক। সবাইকে আলাদা আলাদা কিছু প্রশ্নপত্র পাঠানো হয়।

উত্তরপত্র ফেরত আসার পর এবং সবার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেশির ভাগ দেশে পুরুষেরাই প্রথম ভালবাসার পথে হেঁটেছেন। শুধু তাই নয়, উল্টো দিকের মানুষটিকে নিজের করে পাওয়ার জন্য পরিশ্রমও করেছেন প্রচুর।

গবেষণায় উঠে এসেছে, কাউকে ভালো লাগার ৬৯ দিনের মাথায় পুরুষেরা মনের কথা জানিয়ে দেন। সেখানে নারীরা ৭৭ দিন পেরিয়ে গিয়েও বুঝে উঠতে পারেন না, তিনি আদৌ পছন্দ করেন কি না।

পুরুষেরা প্রথমেই সরাসরি আক্ষরিকভাবে ভালবাসার কথা জানান না। কাব্য করে কিংবা অন্য কোনো রূপকের সাহায্য মনের ভাব প্রকাশ করেন। কিন্তু পছন্দের মানুষটিকে ‘আই লাভ ইউ’ বলতে বেশি সময়ও নেন না।

সম্পর্ক শুরুর ১০৭ দিনের মাথায় লিখে হোক কিংবা ফোনে অথবা সামনাসামনি ভালবাসার কথা জানিয়ে দেন পুরুষরা। ভালোবাসার প্রস্তাব পেয়ে বেশিরভাগ নারীই আনন্দিত হয়েছেন, এমন মন্তব্য করেছেন গবেষণায় অংশগ্রহণকারী নারীরা।

এত কিছুর পর ছেলে বা মেয়ে, যে-ই বলে থাকুক না কেন, একবার ভালোবাসা হয়ে গেলে বোধহয় প্রেমিক মন ঠিকই বলে ওঠে ‘ভালোবাসার মূল্য কত/ কিছু আমি জানি না/ এ জীবন তুল্য কি তার আমি সেতো বুঝি না/ আমি না জেনে না বুঝে নিলাম তোমার মন/পরে বেশি দাম চেও না।’

এ বিভাগের আরো খবর