বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে যে ৫ পানীয় দিয়ে সকাল শুরু করতে পারেন

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৬ আগস্ট, ২০২৩ ১৭:৫৮

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের মূল বিষয়ই হলো শৃঙ্খলা। হোক সে খাবার বা যেকোনো পানীয়। ডায়াবেটিস রোগীদের ঘুম থেকে ওঠার পরপরই এমন কিছু খাওয়া বা পান করা উচিত যা তাদের শরীরে শর্করার ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে বা বজায় রাখতে সাযাহ্য করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের মূল বিষয়ই হলো শৃঙ্খলা। হোক সে খাবার বা যেকোনো পানীয়।

তবে সকাল শুরুর জন্য চিনি দিয়ে তৈরি চা, কফি বা যেকোনো অ্যানার্জি ড্রিংক খুব একটা উপকারী কিছু নয়। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এর প্রভাব আরও খারাপ হতে পারে। কারণ এক্ষেত্রে ঘুম থেকে ওঠার পর কারও কারও রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়।

এ কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের ঘুম থেকে ওঠার পরপরই এমন কিছু খাওয়া বা পান করা উচিত যা তাদের শরীরে শর্করার ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে বা বজায় রাখতে সাযাহ্য করে।

এনডিটিভির একটি প্রতিবেদন বলছে, এক্ষেত্রে সেরা বিকল্প হতে পারে বাড়িতে তৈরি পানীয়। এ ধরণের পানীয়তে প্রাকৃতিক পুষ্টিগুণ অটুট থাকার পাশাপাশি থাকে পুষ্টির পরিপূর্ণতা।

সুস্থ থাকতে তাই এমন কিছু পানীয় দিয়ে সকাল শুরু করতে পারেন ডায়াবেটিস রোগীরা-

করলার জুস

খালি পেটে খাওয়ার জন্য একটি সেরা পানীয় করলার জুস বা রস। করলায় এমন কিছু যৌগ রয়েছে যা রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। তিতা স্বাদের এ সবজিটিতে চর্বি, শর্করা ও ক্যালরির মাত্রা কম, সেসঙ্গে এটি পুষ্টি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। তাই বলা যায়, আপনার ডায়াবেটিস ডায়েটে একটি দুর্দান্ত সংযোজন হতে পারে করলার জুস।

মেথি পানি

সকাল সকাল যদি সহজ ও পুষ্টিকর কিছু পান করতে চান, তবে মেথি পানি হতে পারে আপনার জন্য আদর্শ। সারা রাত মেথি বীজ পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকাল সকাল সেই পানীয় পান করলে তা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে বলে অনেক গবেষণা থেকেই জানা গেছে। শুধু মেথি বীজ নয়, মেথির পাতাও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভীষণ উপকারী।

দারুচিনির গ্রিন টি

শুধু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ নয়, গ্রিন টি’র রয়েছে বিস্তৃত স্বাস্থ্য উপকারিতা। কোনো প্রকার মিষ্টি বা চিনি না দিয়ে এর উপকারিতা নিতে পারেন ডায়াবেটিস রোগীরা। যদি স্বাদ বাড়াতে কিছু যোগ করতেই হয়, তবে যোগ করুন দারুচিনি। এতে শুধু চায়ের স্বাদই বাড়ে না, বাড়ে এর পুষ্টিগুণও।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, দারুচিনি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পাশাপাশি ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের সঙ্গে যুক্ত স্বাস্থ্য জটিলতার ঝুঁকিও কমাতে পারে গ্রিন টি।

বার্লির পানি

গোটা শস্যও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সুপারফুডের চেয়ে কম কিছু নয়। শুধু ডায়াবেটিস রোগীরা নয়, সুস্থ মানুষেরাও নির্দ্বিধায় ‘সুপার গ্রেইন’ বার্লি তাদের খাদ্য তালিকায় যোগ করার কথা বিবেচনা করতে পারেন।

দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় বার্লি রাখার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো বার্লির পানি খাওয়া। যদিও বার্লি পানিতে লবণ যোগ করা যায়, তবে ডায়াবেটিস রোগীদের প্রায়ই সোডিয়াম গ্রহণের ব্যাপারে তা নিয়ন্ত্রণে রাখার পরামর্শ দেয়া হয়। ফলে লবণ খাওয়ার বিষয়ে তাদের সচেতন থাকা উচিত।

লেবু পানি

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক ও সহজভাবে ঘরে তৈরি পানীয় হলো লেবু পানি। অনেক বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দেন, সকালে ঘুম থেকে উঠেই একজন ডায়াবেটিস রোগী যা করতে পারে, তা হলো লেবু পানি পান করা।

এটি একটি ডিটক্সিফাইং (বিষমুক্ত করার প্রক্রিয়া) পানীয় যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ও ওজন কমাতেও সাহায্য করে থাকে। তবে অতিরিক্ত স্বাদের প্রয়োজন হলে লেবু পানিতে বিনা দ্বিধায় যোগ করতে পারেন পুদিনা বা আদা।

কিন্তু সাবধান! উপরে উল্লিখিত পানীয়গুলোর ক্ষেত্রে এড়িয়ে চলুন চিনি বা যেকোনো ধরনের মিষ্টির ব্যবহার।

পানীয়গুলোকে আপনার দৈনন্দিন রুটিনের একটি অংশ করুন এবং দেখুন কী পার্থক্য আসে জীবনে!

এ বিভাগের আরো খবর