বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্রি-১০১ ধান হেক্টরে ফলন সাড়ে ৮ টন

  •    
  • ১১ মে, ২০২৩ ১৭:৪৫

গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক আব্দুল কাদের সরদার বলেন, ‘ব্রি-১০১ জাতের ধান চিকন ধানে নতুন আশা জাগিয়েছে। এই ধান খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে। আমরা কৃষককে এই ধান চাষে উৎসাহিত করব। একইসঙ্গে প্রায় ৩০ বছরের পুরনো ব্রি-২৮ জাতের ধান চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করছি।’

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) নতুন উদ্ভাবিত জাত ব্রি ধান-১০১ গোপালগঞ্জে হেক্টরে ৭ দশমিক ৭৬ টন থেকে ৮ দশমিক ৫ টন ফলন দিয়েছে। ব্যাকটেরিয়াজনিত পোড়া রোগ প্রতিরোধী হওয়ায় এই জাতের ধান ক্ষেতে রোগ-বালাই নেই।

উচ্চ ফলনশীল (ইনব্রিড) জাতটি হাইব্রিড ধানের মতোই ফলন দিয়েছে। লম্বা ও চিকন জাতের এই ধানের ভাত ঝরঝরে ও খেতে সুস্বাদু। ব্রি-২৮ জাতের বিকল্প হিসেবে ব্রি-১০১ আবাদ করা যাবে। ব্রি-২৮ জাতের তুলনায় হেক্টরপ্রতি ১ দশমিক ৭৫ টন থেকে ২ দশমিক ৫০ টন বেশি ফলন পেয়ে কৃষকরা লাভবান হবেন।

ব্রি গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ও ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘চলতি বোরো মৌসুমে প্রথম গোপালগঞ্জে ৫টি প্রদর্শনী প্লটে ব্রি-১০১ জাতের ধান আবাদ করা হয়। এসব প্লট থেকে নমুনা শস্য সংগ্রহ করে দেখা গেছে, হেক্টর প্রতি ফলন হয়েছে ৭ দশমিক ৭৬ টন থেকে ৮ দশমিক ৫০ টন।

‘কৃষকরা এই ধান আবাদ করে পরবর্তী বছরের জন্য বীজ সংরক্ষণ করতে পারেন। প্রদর্শনী প্লটে ধানের বাম্পার ফলন দেখে কৃষকরা আগামী বছর এই জাতের ধান চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।’

গোপালগঞ্জে বি ধান-১০১ এর প্রদর্শনী মাঠে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। ছবি: নিউজবাংলা

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা ইউনিয়নের কৃষক নসরু মোল্লা বলেন, ‘আমি এই ধান প্রথম করেছি। হাইব্রিড ধানের জাতের মতোই হেক্টরে ৭ দশমিক ৭৬ টন ফলন পেয়েছি। এই ধান ব্রি-২৮ এর চেয়েও লম্বা ও চিকন। ফলনও হেক্টরপ্রতি ১ দশমিক ৭৬ টন বেশি পেয়েছি।

‘এটি প্রিমিয়াম কোয়ালিটির ধান। বাজারে এই ধানের দামও বেশি পাওয়া যায়। এই ধানে নেক ব্লাস্ট বা অন্য কোনো রোগ-বালাই হয়নি। আমার ক্ষেতের ধান দেখে আশপাশের কৃষকরা এই জাতের ধান চাষে ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছেন। আমি আগামী বছরের জন্য এই ধানের বীজ সংরক্ষণ করছি।’

একই গ্রামের কৃষক আলতাফ হোসেন বলেন, ‘এই ধানের ফলন হাইব্রিড ধানের মতোই। কিন্তু চাষাবাদে হাইব্রিড ধানের তুলনায় খরচ কম। তাই আগামী বছর আমি এই ধানের আবাদ করব।’

ব্রি গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৃজন চন্দ্র দাস বলেন, ‘বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত ব্রি-১০১ জাতটি ক্লাইমেট স্মার্ট। গোপালগঞ্জে মাঠ পর্যায়ে প্রথম ৫টি ট্রায়ালে ব্যাপক সাফল্য মিলেছে। ফলন বেশি হওয়ায় এই ধান চাষে কৃষকরা আগ্রহী হবে। আর এই ধানের চাষ সম্প্রসারিত হলে দেশ ধানে আরও সমৃদ্ধ হবে। কৃষকের আয় আরও বৃদ্ধি পাবে।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক আব্দুল কাদের সরদার বলেন, ব্রি-১০১ জাতের ধান চিকন ধানে নতুন আশা জাগিয়েছে। এই ধান খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে।

‘আমরা কৃষককে এই ধান চাষে উৎসাহিত করব। এই ধানের আবাদ সম্প্রসারিত হলে দেশের কৃষক ও কৃষি আরও সমৃদ্ধ হবে। একইসঙ্গে আগামী মৌসুমে প্রায় ৩০ বছরের পুরনো ব্রি-২৮ জাতের ধান চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করছি।’

এ বিভাগের আরো খবর