রাজশাহীর ঈদগাহগুলোতে ঈদের নামাজ শেষে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বৃষ্টির জন্য মোনাজাত করা হয়েছে। শনিবার এখানে প্রায় সব ঈদগাহ মাঠেই বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা জানানো হয়।
রাজশাহীতে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায় হযরত শাহ মখদুম ঈদগাহ ময়দানে। এখানে নামাজ আদায় করেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফর উল্লাহ, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
ঈদের নামাজ শেষে দেশ-জাতির কল্যাণ, বিশ্ব শান্তি ও বৃষ্টি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। নামাজ শেষে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘আজ আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা একসঙ্গে নামাজ আদায় ও কুশল বিনিময় করলাম। এই দিনে হয়তো সারাদেশেই এমন চিত্র ছিলো। আমরা এটা ধরে রাখতে চাই। আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক মতদ্বৈধ থাকবে। তবে সেটা যেন এমন না হয় যে আমাদের মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে যাবে।’
রাজশাহীতে ঈদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জামাত অনুষ্ঠিত হয় মহানগর টিকাপাড়া ঈদগাহে। সাহেববাজার বড় রাস্তায় হয়েছে তৃতীয় বৃহত্তম ঈদ জামাত।
রাজশাহীর প্রায় সব ঈদগাহ মাঠেই নামাজ শেষে মোনাজাতে বিশেষভাবে বৃষ্টির জন্য দোয়া করা হয়। বিশ্ববাসী ও বেশবাসীর কল্যাণ কামনার পাশাপাশি খরতাপ থেকে বাঁচতে বৃষ্টি কামনা করে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করা হয়।
এদিকে চলতি মাসের শুরু থেকে চলমান খরতাপের মাঝে শনিবার সকাল থেকে রাজশাহীতে সূর্যের প্রখরতা কিছুটা কম ছিলো। দুপুরে প্রতিদিনই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির উপরে থাকলেও এদিন রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ২৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সে সুবাদে ঈদগাহগুলোতে অনেকটা স্বস্তিতে নামাজ আদায় করতে পেরেছেন মুসল্লিরা।