সাধারণত চাঁদরাতেই ইদের রান্নাবান্না শুরু হয়ে যায়। ঈদের দিনের কাজগুলো যদি আগের দিন কিছুটা কমিয়ে ফেলা যায়, সেদিনটা একটু হালকা থাকা যায়। গুছিয়ে কাজগুলো করতে পারলে খুব সহজেই আপনার রান্নাঘর চলে আসবে হাতের মুঠোয়। ঈদের দিনের জন্য আপনার রান্নাঘরটি কীভাবে সাজাবেন, জেনে নেই।
সবার প্রথমে জরুরী আপনি কয়টি আইটেম রান্না করবেন তার একটি তালিকা তৈরি করা। যেমন কয়টি মিষ্টি আইটেম, কয়টি ঝাল, টক বা সালাদ আইটেম।
যে খাবারগুলো তৈরি করতে বেশি সময় লাগবে এবং রেফ্রিজারেটরে রাখলে স্বাদ নষ্ট হবেনা, সেগুলোর একটা তালিকা প্রস্তুত করে নিন ঈদের আগের রাতেই। আর যেগুলো তাৎক্ষণিক পরিবেশন করতে সেগুলো ঈদের দিনের জন্য রেখে দিন। যেমন পোলাও, সালাদ, জুসজাতী, ফ্রুট কাস্টার্ড বা ফল দিয়ে তৈরি যেকোনো খাবার হতে পারে।
অতিথি আপ্যায়ণের জন্য শোকেস থেকে বিভিন্ন ডিশ, সব ধরনের চামচ, প্লেট, পিরিচ, পানীয় বা জুস খাবার আলাদা গ্লাস ও ন্যাপকিন জাতীয় সব প্রয়োজনীয় জিনিস ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করে রেখে দিনে। চুলা থেকে দূরে হাতের কাছেই কোনো জায়গায় ঢেকে রেখে দিলে ভলো। এতে খাবার পরিবেশনের সময় সব সহজে পেয়ে যাবেন।
হাতের কাছাকাছি কয়েকটা পরিষ্কার পুরোনো কাপড় বা ছোট তোয়ালে রাখতে পারেন। এতে বারবার হাত মোছা, খাবার পরিবেশন করে ধুয়ে সহজে মুছে আবার পরিবেশন করতে পারবেন। তা ছাড়া রান্নাঘরের সম্মুখে অবশ্যই নরম পাপশ বা তোয়ালে রেখে দিতে পারেন। এতে পা বা স্যান্ডেল মুছে বাইরে গেলে রান্নাঘরের চিটচিটে ভাব অন্য ঘরে লাগবে না।
ঈদের দিন ভাজাপোড়া করার মতো কোনো পদ থাকলে তা সকাল সকাল শেষ করে ফেলার চেষ্টা করুন। কারণ, এতে ঘর গরম হয়ে যায় অথবা ধোঁয়াটে হয়ে যায়। সেগুলো যে ডিশে পরিবেশন করবেন তা আলাদা করে রাখুন এবং অবশ্যই শুকনো পাত্র ব্যবহার করুন। তা না হলে মুচমুচে ভাব থাকবে না।
ঈদের আগের রাতে যেসব ডিশ তৈরি করবেন, সেগুলো ওভেনপ্রুভ সুন্দর বাটিতে বা বক্সে করে রেফ্রিজারেটরে রেখে দেবেন। যাতে কম সময়ে ওভেনে দেওয়া যায়। এ ছাড়া ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশনযোগ্য খাবারের ক্ষেত্রেও সুবিধা হবেই।
রান্নাবান্না ও পরিবেশনের কাজ যারা করবেন, তারা অবশ্যই অ্যাপ্রোন ব্যবহার করবেন। এতে কাপড়টি সুরক্ষিত থাকবে এবং তেল মশলা গায়ে লাগবে না। আর হাতে গ্লাভস ব্যবহার করা উচিত। এতে হাতও সুরক্ষিত থাকবে। আর হাড়ি পাতিল ও প্লেট গ্লাস আলাদা মাজুনি দিয়ে মাজুন।