ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটি জাকাত। এটি ধনীদের কাছ থেকে গরিবের পাওনা। এ নিয়ে অনেকের মধ্যে সংশয় ও নানা প্রশ্ন রয়েছে। সেসব প্রশ্নের অনেকগুলোর উত্তর দিয়েছে জাকাতবিষয়ক ওয়েবসাইট আমার জাকাত ডটকম।
ওয়েবসাইটটিতে একটি প্রশ্ন ছিল, ‘জাকাতযোগ্য সম্পদের পরিমাণ কি নিসাব পূর্ণ হওয়ার সময় থেকে হিসাব করা হবে নাকি বছরপূর্তি থেকে হিসাব করা হবে? যদি নিসাব পরিমাণ হওয়ার সময় সম্পদের পরিমাণ হয় ১ লাখ এবং বছরপূর্তির সময় হয় ৫ লাখ, তাহলে কোন অঙ্কটির ওপর জাকাত হিসাব করতে হবে?’
এর উত্তরে বলা হয়, প্রথমত, নগদ অর্থের জাকাত ফরজ হয় দুইটি কারণে। (ক) নগদ অর্থ নিসাব পরিমাণ হওয়া ও (খ) নিসাব পরিমাণ অর্থের বছর পূর্তি হওয়া। অতএব সঞ্চিত অর্থ যদি নিসাবের চেয়ে কম হয়, তাহলে জাকাত ফরয হবে না। যদি সঞ্চিত অর্থ নিসাব পরিমাণ হয় এবং নিসাব পরিমাণ অর্থের এক বছর পূর্তি হয়, অর্থাৎ পূর্ণাঙ্গ এক চন্দ্র বছর (হিজরি সাল) অতিবাহিত হয়, তখন জাকাত ফরজ হবে। নিসাবের পরিমাণ হচ্ছে ৮৫ গ্রাম স্বর্ণ বা ৫৯৫ গ্রাম রুপা। আর মোট অর্থের ৪০ ভাগের এক ভাগ (২.৫ শতাংশ) জাকাত দেওয়া ফরজ।
দ্বিতীয়ত যদি কারও কাছে নিসাব পরিমাণ অর্থ থাকে, ধরা যাক সেটা ১ লাখ আর বছর শেষে তার অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫ লাখে, তাহলে সে কীভাবে জাকাত আদায় করবে?
১. এই অতিরিক্ত অর্থ যদি মূল অর্থের মাধ্যমে অর্জিত হয়, যেমন: মূল এক লাখ টাকা যদি বিনিয়োগ করার মাধ্যমে লাভ হয় চার লাখ টাকা, তাহলে বছর শেষে সর্বমোট অর্থের জাকাত আদায় করতে হবে। কেননা বিধি হচ্ছে লাভ পুঁজির বিধানের অনুগত।
২. যদি এই অর্থ মূল অর্থের মাধ্যমে অর্জিত না হয়, অন্য কোনো মাধ্যমে অর্জিত হয়ে থাকে, যেমন: উত্তরাধিকার, উপঢৌকন, কোনো কিছু বিক্রি ইত্যাদি, তাহলে এ সম্পদের আলাদা বছর হিসাব করা হবে। যেদিন এই অতিরিক্ত সম্পদ মালিকানায় এসেছে, সেদিন থেকে বছর গণনা শুরু হবে। আর যদি মূল এক লাখের সঙ্গে যাকাত আদায় করে দিতে চায়, সেটাও করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে তিনি এ অতিরিক্ত অর্থের জাকাত ফরজ হওয়ার আগেই অগ্রিম আদায় করে দিলেন। এতেও কোনো অসুবিধা নেই।