হজযাত্রী নিবন্ধনের জন্য সাত দফা সময় বাড়িয়েও এ বছরের হজের কোটা পূরণ হয়নি। এ অবস্থায় বুধবার নিবন্ধনের সময় শেষ হলেও রোববার পর্যন্ত সময় বাড়িয়েছে সরকার।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম বৃহস্পতিবার জানান, বুধবার হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় শেষ হলেও আগামী রোববার পর্যন্ত সার্ভার খোলা রাখা হবে। অর্থাৎ রোববার পর্যন্ত হজে যেতে নিবন্ধন করা যাবে। এরপর হজযাত্রী নিবন্ধন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সরকারিভাবে ৯ হাজার ৯৯৬ জন ও বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে হজে যেতে এক লাখ ৯ হাজার ২০২ জন নিবন্ধন করেছেন।
বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন এবার হজে যেতে পারবেন। সে হিসাবে কোটা পূরণ হতে আরও ৮ হাজার জনকে নিবন্ধন করতে হবে।
অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম বলেন, এখনও কোটার ৮ হাজার ফাঁকা থাকলেও সরকারি-বেসরকারি তিন হাজারের বেশি হজ গাইডকে সৌদি আরবে পাঠাতে হবে। তাদের জন্য কিছু কোটা সংরক্ষণ করা আছে। ফলে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৪ হাজার কোটা ফাঁকা থাকতে পারে।
বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার কারণে এবার হজ প্যাকেজের খরচ অনেক বেড়েছে। ২৩ ফেব্রুয়ারি ছিল হজযাত্রী নিবন্ধনের শেষ সময়। কিন্তু কোটা পূরণ না হওয়ায় এরপর ৭ দফা সময় বাড়ানো হয়। তারপরও নির্ধারিত কোটা পূরণ করতে পারেনি সরকার।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন হজ হবে। খরচ কমানোর পর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে ৬ লাখ ৭১ হাজার ২৯০ টাকা এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করতে ৬ লাখ ৬০ হাজার ৮৯৩ টাকা লাগবে।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া এক লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা থেকে কমিয়ে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা করার সুপারিশ করলেও তা কমায়নি সরকার।