বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রোজা ভঙ্গের কারণ

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৪ মার্চ, ২০২৩ ১৩:২১

ইসলামি প্রশ্নোত্তরভিত্তিক ওয়েবসাইট ইসলামকিউএ ডটইনফোর এক উত্তরে বলা হয়, ‘আল্লাহতায়ালা পরিপূর্ণ হেকমত অনুযায়ী রোজার বিধান জারি করেছেন। তিনি রোজাদারকে ভারসাম্য রক্ষা করে রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন একদিকে যাতে রোজা রাখার কারণে রোজাদারের শারীরিক কোনো ক্ষতি না হয়, অন্যদিকে সে যেন রোজা বিনষ্টকারী কোনো বিষয়ে লিপ্ত না হয়।’

বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শুরু হয়েছে সিয়াম সাধনার মাস রমজান। এ মাসে ভোররাতে সেহরি খেয়ে দিনভর পানাহার থেকে দূরে থাকেন মুসলিমরা। এ সময়ে কী কী কারণে রোজা ভেঙে যায় বা নষ্ট হয়ে যায়, তা নিয়ে জানার আগ্রহ আছে অনেকের।

ইসলামি প্রশ্নোত্তরভিত্তিক ওয়েবসাইট ইসলামকিউএ ডটইনফোর এক প্রশ্নোত্তরে এ নিয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ‘আল্লাহতায়ালা পরিপূর্ণ হেকমত অনুযায়ী রোজার বিধান জারি করেছেন। তিনি রোজাদারকে ভারসাম্য রক্ষা করে রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন একদিকে যাতে রোজা রাখার কারণে রোজাদারের শারীরিক কোনো ক্ষতি না হয়, অন্যদিকে সে যেন রোজা বিনষ্টকারী কোনো বিষয়ে লিপ্ত না হয়।’

প্রশ্নোত্তরে রোজা বিনষ্টের কারণ নিয়ে বলা হয়, ‘এ কারণে রোজা বিনষ্টকারী বিষয়গুলো দুই ভাগে বিভক্ত। কিছু রোজা বিনষ্টকারী বিষয় রয়েছে, যেগুলো শরীর থেকে কোনো কিছু নির্গত হওয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত। যেমন: সহবাস, ইচ্ছাকৃত বমি করা, হায়েজ (মাসিক ঋতুস্রাব) ও শিঙ্গা লাগানো। শরীর থেকে এগুলো নির্গত হওয়ার কারণে শরীর দুর্বল হয়। এ কারণে আল্লাহতায়ালা এগুলোকে রোজা ভঙ্গকারী বিষয় হিসেবে নির্ধারণ করেছেন যাতে করে এগুলো নির্গত হওয়ার দুর্বলতা ও রোজা রাখার দুর্বলতা উভয়টি একত্রিত না হয়। এমনটি ঘটলে রোজার মাধ্যমে রোজাদার ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং রোজা বা উপবাসের ক্ষেত্রে আর ভারসাম্য বজায় থাকবে না।

‘আর কিছু রোজা বিনষ্টকারী বিষয় আছে, যেগুলো শরীরে প্রবেশ করানোর সঙ্গে সম্পৃক্ত। যেমন: পানাহার। তাই রোজাদার যদি পানাহার করে, তাহলে যে উদ্দেশ্যে রোজার বিধান জারি করা হয়েছে সেটা বাস্তবায়িত হবে না।’ [মাজমুউল ফাতাওয়া ২৫/২৪৮]

কোরআনের সংশ্লিষ্ট আয়াত

ইসলামকিউএ ডটইনফোর প্রশ্নোত্তরে রোজা নিয়ে কোরআনের আয়াত তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, “আল্লাহতায়ালা নিম্নোক্ত আয়াতে রোজা বিনষ্টকারী বিষয়গুলোর মূলনীতি উল্লেখ করেছেন:

‘এখন তোমরা নিজ স্ত্রীদের সঙ্গে সহবাস করো এবং আল্লাহ তোমাদের জন্য যা কিছু লিখে রেখেছেন তা (সন্তান) তালাশ করো। আর পানাহার করো যতক্ষণ না কালো সুতা থেকে ভোরের শুভ্র সুতা পরিষ্কার ফুটে ওঠে...।’” [সূরা বাকারা, আয়াত: ১৮৭]

উত্তরে উল্লেখ করা হয়, ‘এ আয়াতে আল্লাহতায়ালা রোজা নষ্টকারী প্রধান বিষয়গুলো উল্লেখ করেছেন। সেগুলো হচ্ছে পানাহার ও সহবাস। আর রোজা নষ্টকারী অন্য বিষয়গুলো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার হাদিসে উল্লেখ করেছেন।’

হাদিসে রোজা বিনষ্টকারী যেসব বিষয় এসেছে, সে বিষয়ে প্রশ্নোত্তরে বলা হয়, রোজা নষ্টকারী বিষয় ৭টি। সেগুলো হলো শারীরিক সম্পর্ক বা সহবাস, হস্তমৈথুন, পানাহার, যা কিছু পানাহারের স্থলাভিষিক্ত, শিঙ্গা লাগানো কিংবা এ জাতীয় অন্য কোনো কারণে রক্ত বের করা, ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করা, নারীদের হায়েজ ও নিফাসের (কোনো নারীর জরায়ু থেকে সন্তান প্রসবের কারণে যে রক্ত বের হয়) রক্ত বের হওয়া।

শারীরিক সম্পর্কের বিষয়ে প্রশ্নোত্তরে বলা হয়, “এ বিষয়গুলোর মধ্যে প্রথম হচ্ছে সহবাস। এটি সবচেয়ে বড় রোজা নষ্টকারী বিষয় ও এতে লিপ্ত হলে সবচেয়ে বেশি গুনাহ হয়। যে ব্যক্তি রমজানের দিনের বেলা স্বেচ্ছায় স্ত্রী সহবাস করবে, অর্থাৎ দুই খতনার স্থানদ্বয়ের মিলন ঘটাবে এবং পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ যৌনাঙ্গের ভেতরে অদৃশ্য হয়ে যাবে, সে তার রোজা নষ্ট করল। এতে করে বীর্যপাত হোক কিংবা না হোক। তার ওপর তওবা করা, সেদিনের রোজা পূর্ণ করা, পরবর্তী সময়ে এ দিনের রোজা কাজা করা ও কঠিন কাফফারা আদায় করা ফরজ। এর দলিল হচ্ছে আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত হাদিস। তিনি বলেন, ‘এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে বলল, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ, আমি ধ্বংস হয়েছি।’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘কিসে তোমাকে ধ্বংস করল?’ সে বলল, ‘আমি রমজানে (দিনের বেলা) স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করে ফেলেছি।’ তিনি বললেন, ‘তুমি কি একটি ক্রীতদাস আজাদ করতে পারবে?’ সে বলল, ‘না।’ তিনি বললেন, ‘তাহলে লাগাতার দুই মাস রোজা রাখতে পারবে?’ সে বলল, ‘না।’ তিনি বললেন, ‘তাহলে ৬০ জন মিসকিনকে খাওয়াতে পারবে?’ সে বলল, ‘না’। [হাদিসটি সহিহ বুখারি (১৯৩৬) ও সহিহ মুসলিমে (১১১১) এসেছে]

স্ত্রী সহবাস ছাড়া অন্য কোনো কারণে কাফফারা আদায় করা ওয়াজিব হয় না।”

হস্তমৈথুনের বিষয়ে উত্তরে বলা হয়, “দ্বিতীয়: হস্তমৈথুন। হস্তমৈথুন বলতে বোঝায় হাত দিয়ে কিংবা অন্য কিছু দিয়ে বীর্যপাত করা। হস্তমৈথুন যে রোজা ভঙ্গকারী এর দলিল হচ্ছে হাদিসে কুদসিতে রোজাদার সম্পর্কে আল্লাহর বাণী: ‘সে আমার কারণে পানাহার ও যৌনকর্ম পরিহার করে।’ সুতরাং যে ব্যক্তি রমজানের দিনের বেলা হস্তমৈথুন করবে তার ওপর ফরজ হচ্ছে তওবা করা। সে দিনের বাকি সময় উপবাস থাকা এবং পরবর্তী সময়ে সে রোজাটির কাজা পালন করা। আর যদি এমন হয়, হস্তমৈথুন শুরু করেছে বটে, কিন্তু বীর্যপাতের আগে সে বিরত হয়েছে, তাহলে আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে; তার রোজা সহিহ। বীর্যপাত না করার কারণে তাকে রোজাটি কাজা করতে হবে না। রোজাদারের উচিত হচ্ছে যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী সবকিছু থেকে দূরে থাকা এবং সব কুচিন্তা থেকে নিজের মনকে প্রতিহত করা। আর যদি মজি (কাম রস) বের হয়, তাহলে অগ্রগণ্য মতানুযায়ী এটি রোজা ভঙ্গকারী নয়।’

পানাহারের বিষয়ে উত্তরে বলা হয়, “তৃতীয়: পানাহার। পানাহার বলতে বোঝাবে মুখ দিয়ে কোনো কিছু পাকস্থলীতে পৌঁছানো। অনুরূপভাবে নাক দিয়ে কোনো কিছু যদি পাকস্থলীতে পৌঁছানো হয়, সেটাও পানাহারের পর্যায়ভুক্ত। এ কারণে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তুমি ভালো করে নাকে পানি দাও যদি না তুমি রোজাদার হও।’ [সুনানে তিরমিজি (৭৮৮), আলবানি সহিহ তিরমিজিতে হাদিসটিকে সহিহ আখ্যায়িত করেছেন] সুতরাং নাক দিয়ে পাকস্থলীতে পানি প্রবেশ করানো যদি রোজাকে ক্ষতিগ্রস্ত না করত, তাহলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ভালো করে নাকে পানি দিতে নিষেধ করতেন না।”

পানাহারের স্থলাভিষিক্ত রোজা বিনষ্টকারী বিষয় নিয়ে উত্তরে বলা হয়, “চতুর্থ: যা কিছু পানাহারের স্থলাভিষিক্ত। এটি দুটি বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে। ১. যদি রোজাদারের শরীরে রক্ত পুশ করা হয়। যেমন: আহত হয়ে রক্তক্ষরণের কারণে কারও শরীরে যদি রক্ত পুশ করা হয়, তাহলে সে ব্যক্তির রোজা ভেঙে যাবে। যেহেতু পানাহারের উদ্দেশ্য হচ্ছে রক্ত তৈরি। ২. খাদ্যের বিকল্প হিসেবে ইনজেকশন পুশ করা। কারণ এমন ইনজেকশন নিলে পানাহারের প্রয়োজন হয় না। [শাইখ উছাইমীনের ‘মাজালিসু শারহি রমাদান’, পৃষ্ঠা ৭০] তবে, যেসব ইনজেকশন পানাহারের স্থলাভিষিক্ত নয়; বরং চিকিৎসার জন্য দেয়া হয়, উদাহরণস্বরূপ ইনসুলিন, পেনিসিলিন কিংবা শরীর চাঙা করার জন্য দেয়া হয় কিংবা টিকা হিসেবে দেয়া হয়, এগুলো রোজা ভঙ্গ করবে না; চাই এসব ইনজেকশন মাংশপেশিতে দেয়া হোক কিংবা শিরাতে দেয়া হোক। [শাইখ মুহাম্মদ বিন ইব্রাহিমের ফতোয়াসমগ্র] তবে, সাবধানতাস্বরূপ এসব ইনজেকশন রাতে নেয়া যেতে পারে।

“কিডনি ডায়ালাইসিসের ক্ষেত্রে রোগীর শরীর থেকে রক্ত বের করে সে রক্ত পরিশোধন করে কিছু কেমিক্যাল ও খাদ্য উপাদান (যেমন: সুগার ও লবণ ইত্যাদি) যোগ করে সে রক্ত পুনরায় শরীরে পুশ করা হয়। এতে করে রোজা ভেঙে যাবে।”

শিঙ্গা লাগানো, কাপিং বা হিজামার বিষয়ে ইসলামকিউএ ডটইনফোর উত্তরে বলা হয়, “পঞ্চম: শিঙ্গা লাগানোর মাধ্যমে রক্ত বের করা। দলিল হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী, ‘যে ব্যক্তি শিঙ্গা লাগায় ও যার শিঙ্গা লাগানো হয় উভয়ের রোজা ভেঙে যাবে।’ [সুনানে আবু দাউদ (২৩৬৭), আলবানি সহিহ আবু দাউদ গ্রন্থে (২০৪৭) হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন]

“রক্ত দেয়াও শিঙ্গা লাগানোর পর্যায়ভুক্ত। কারণ রক্ত দেয়ার ফলে শরীরের ওপর শিঙ্গা লাগানোর মতো প্রভাব পড়ে। তাই রোজাদারের জন্য রক্ত দেয়া জায়েজ নেই, তবে যদি অনন্যোপায় হয়ে কোনো রোগীকে রক্ত দেয়া লাগে তাহলে রক্ত দেয়া জায়েজ হবে। রক্ত দানকারীর রোজা ভেঙে যাবে এবং সে দিনের রোজা কাজা করবে। [শাইখ উছাইমীনের ‘মাজালিসু শারহি রামাদান’ পৃষ্ঠা-৭১]

“কোনো কারণে যে ব্যক্তির রক্তক্ষরণ হচ্ছে, তার রোজা ভাঙবে না। কারণ রক্তক্ষরণ তার ইচ্ছাকৃত ছিল না। [স্থায়ী কমিটির ফতোয়াসমগ্র (১০/২৬৪)]

“আর দাঁত তোলা, ক্ষতস্থান ড্রেসিং করা কিংবা রক্ত পরীক্ষা করা ইত্যাদি কারণে রোজা ভাঙবে না। কারণ এগুলো শিঙ্গা লাগানোর পর্যায়ভুক্ত নয়। কারণ এগুলো দেহের ওপর শিঙ্গা লাগানোর মতো প্রভাব ফেলে না।”

রোজা ভঙ্গের ষষ্ঠ কারণ নিয়ে উত্তরে বলা হয়, ‘ষষ্ঠ: ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করা। দলিল হচ্ছে ‘যে ব্যক্তির অনিচ্ছাকৃতভাবে বমি এসে যায়, তাকে উক্ত রোজা কাজা করতে হবে না, কিন্তু যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় বমি করল তাকে সে রোজা কাজা করতে হবে।”[সুনানে তিরমিজি (৭২০), আলবানি সহিহ তিরমিজি গ্রন্থে (৫৭৭) হাদিসটিকে সহিহ আখ্যায়িত করেছেন]

ইবনে মুনজির বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত বমি করেছে আলেমদের ঐক্যবদ্ধ অভিমত (ইজমা) হচ্ছে তার রোজা ভেঙ্গে গেছে।’ [আল-মুগনী (৪/৩৬৮)]

যে ব্যক্তি মুখের ভেতরে হাত দিয়ে কিংবা পেট কচলিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করেছে কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে এমন কিছু শুকেছে কিংবা বারবার দেখেছে, যার একপর্যায়ে তার বমি এসে গেছে, তাকেও রোজা কাজা করতে হবে, তবে যদি কারও পেট ফেঁপে থাকে, তার জন্য বমি আটকে রাখা বাধ্যতামূলক নয়। কারণ এতে করে তার স্বাস্থ্যের ক্ষতি হবে।” [শাইখ উছাইমীনের মাজালিসু শাহরি রামাদান, পৃষ্ঠা ৭১]

মাসিক ঋতুস্রাবজনিত কারণে রোজা ভঙ্গের বিষয়ে বলা হয়, “সপ্তম: হায়েজ ও নিফাসের রক্ত নির্গত হওয়া। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যখন নারীদের হায়েজ হয়, তখন কি তারা নামাজ ও রোজা ত্যাগ করে না?’ [সহিহ বুখারি (৩০৪)]। তাই কোনো নারীর হায়েজ কিংবা নিফাসের রক্ত নির্গত হওয়া শুরু হলে তার রোজা ভেঙে যাবে, এমনকি সেটা সূর্যাস্তের সামান্য কিছু সময় পূর্বে হলেও। আর কোনো নারী যদি অনুভব করে যে, তার হায়েজ শুরু হতে যাচ্ছে, কিন্তু সূর্যাস্তের আগে পর্যন্ত রক্ত বের হয়নি তাহলে তার রোজা শুদ্ধ হবে এবং সেদিনের রোজা তাকে কাজা করতে হবে না।

আর হায়েজ ও নিফাসগ্রস্ত নারীর রক্ত যদি রাত থাকতে বন্ধ হয়ে যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে তিনি রোজার নিয়ত করে নেন, তবে গোসল করার আগেই ফজর হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে আলেমদের মাজহাব হচ্ছে তার রোজা শুদ্ধ হবে।”

উত্তরে বলা হয়, ‘কোনো নারী যদি হায়েজ বন্ধকারী ওষুধ গ্রহণ করার ফলে তার হায়েজের রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায় এবং জায়গাটি শুকিয়ে যায়, সে নারী রোজা রাখতে পারবে এবং তার রোজাটি আদায় হয়ে যাবে।’

শর্ত

প্রশ্নোত্তরে বলা হয়, ‘উল্লেখিত বিষয়গুলো হচ্ছে রোজা বিনষ্টকারী, তবে হায়েজ ও নিফাস ছাড়া অবশিষ্ট বিষয়গুলো রোজা ভঙ্গ করার জন্য তিনটি শর্ত পূর্ণ হতে হয়।

১. বিনষ্টকারী বিষয়টি ব্যক্তির গোচরীভূত থাকা। অর্থাৎ এ ব্যাপারে সে অজ্ঞ না হয়।

২. তার স্মরণে থাকা।

৩. জোর-জবরদস্তির শিকার না হয়ে স্বেচ্ছায় তাতে লিপ্ত হওয়া।’

এ বিভাগের আরো খবর