অন্য মাংসের তুলনায় খাসির মাংসের আছে কিছু ভালো দিক। অনেক সময় বেশ কয়েকটি রোগও প্রতিরোধ করতে পারে এই মাংস। তবু দুশ্চিন্তা রয়েই যায়; কারণ খাসির মাংস খেলেও কখনও কখনও হতে পারে শরীরের ক্ষতি।
প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজের ভাল উৎস খাসির মাংস। এই মাংসে ভিটামিট বি ৩, ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন বি ৬, আয়রন, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম থাকে। সবকটি উপাদানই শারীরিক গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রতি ১০০ গ্রাম খাসির মাংসে ১২২ ক্যালোরি, ২৩ গ্রাম প্রোটিন, ২.৫৮ গ্রাম ফ্যাট পাওয়া যায়। মাংসে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকলে ক্লোরেস্টেরল বাড়ায়। তবে লাল মাংস মানেই ক্লোরেস্টেরল বাড়ায় না।
ভেড়ার মাংস থেকে স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম থাকে খাসিতে। খাসির মাংস শরীর থেকে রক্তপ্লতা দূর করে। খাসির মাংসে বি ১২ থাকায় ত্বক ভালো থাকে। প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে বলে, খাঁসির মাংস খেলে তাই হাড়, দাঁত, নখ, চুল ভাল থাকে।
একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, অন্তঃসত্ত্বা নারীদের জন্য খাসির মাংস উপকারী। খাসির মাংস খেলে তাদের হিমোগ্লোবিন বাড়ে। টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগও সারিয়ে তোলে।
খাসির মাংসের অপকারিতাও রয়েছে বেশ কিছু। এই মাংস অতিরিক্ত খেলে শরীরে চর্বির পরিমাণ বেড়ে যায়। খাসির মাংস খেলে হৃদগের ঝুঁকি দেখা দেয় এবং হজমেও সমস্যা হতে পারে।
অতিরিক্ত খাসির মাংস খেলে খাদ্যনালি, অগ্ন্যাশয়,ফুসফুস,পাকস্থলী ও স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। কোলস্টেরলের পরিমাণ ও বেড়ে যায়। এ ছাড়া স্ট্রোকের ঝুঁকিও থাকে অনেক।
খাসির মাংস যদি টাটকা পাওয়া যায়, তবে সেটা ভালো। হালকা মশলায় এই মাংস খাওয়ার চেষ্টা করা উচিত। সদ্য জবাই করা মাংস সাধারণত বেশি নরম হয়।