চুলের যত্নে ভেষজ উপাদানের ব্যবহার সেই আদিকাল থেকে। কারণ প্রাকৃতিক অনেক জিনিসই শরীরকে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিকভাবে সুরক্ষিত রাখে। খুশকি দূর করতে ভেষজ ও প্রাকৃতিক উপাদানে চুলের যত্ন নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন হারমোনি স্পা'র রুপ বিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা রীতা।
রাহীমা সুলতানা বলেন, চুলের যত্নে একটা নিয়ম অনুসরণ করা ভালো। এই গ্রীষ্মে ত্বকে ফাঙ্গাল ইনফেকশনের আশঙ্কা থাকে। সেই সঙ্গে চুলও হয়ে যায় চিটচিটে ও জরাজীর্ণ। তাই প্রাকৃতিক কিছু টিপস অনুসরণ করা যায় চুলের সুরক্ষায়।
চুলের নানা সমস্যার মধ্যে খুশকি, চুলের আগা ফেটে যাওয়া, তেল চিটচিটে ভাব আরও কত কী! তবে এই গরমে ঘেমে চুলে চিটচিটে ভাব বেশি দেখা দেয়। ফলে মাথার ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য চুলের যত্নের রয়েছে ঘরোয়া প্রাকৃতিক কিছু টিপস। জেনে নেওয়া যাক কি কি উপায়ে সমস্যাগুলো দূর করা যায়।
অ্যালোভেরায় নরম চুল
অ্যালোভেরা চুলকে কোমল রাখতে ও চুলের আগা ফাটা রোধে খুবই উপকারী। অ্যালোভেরা থেকে জেলটা বের করে ব্লেন্ড করে মাথার স্কাল্পসহ পুরো চুলে লাগিয়ে নিন। ২০-৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।
তেলে চুল তাজা
নারিকেল তেল গরম করে চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগিয়ে এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করুন। তারপর সাধারণ তাপমাত্রার পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে কন্ডিশনিং করুন। তবে তেল দিয়ে কোনো প্যাক লাগানোর আগে গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে মাথা পেচিয়ে রাখুন। এতে হেয়ার ফলিকল খুলে যায় এবং প্যাকের উপকারী জলীয় অংশ সহজেই চুলের গোড়ায় ঢুকতে পারে।
মেথি
মেথির গুড়া, ডিম, টকদই ও লেবুর রস মিশিয়ে মাথায় লাগিয়ে রাখুন ৩০-৩৫ মিনিট। মেথি যেমন চুলকে সিল্কি ও উজ্জ্বল করে তুলবে পাশাপাশি ডিম চুলে প্রোটিন যোগান দিবে। টকদই ও লেবুর রস চুলের তৈলাক্ত ভাব থাকলে সেটা দূর করবে।
হট টাওয়েল ট্রিটমেন্ট
শ্যাম্পু করার আগে শুধু হট টাওয়েল ট্রিটমেন্ট নিতে পারেন। কুসুম গরম পানিতে টাওয়েল ভিজিয়ে সেটি দিয়ে মাথা পেঁচিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন।
এ ছাড়া প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যুক্ত খাবার খান। প্রচুর পানি পান করুন। সেই সাথে মৌসুমি ফল তো খাবেনই।