বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পর্দা উঠল ঢাকা লিট ফেস্টের

  •    
  • ৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ১২:৫২

উদ্বোধন ঘোষণা করে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘এই আয়োজনের সঙ্গে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় নানাভাবে সম্পৃক্ত থেকেছে। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে তিন বছর পর এই অনুষ্ঠানটি হচ্ছে। আমাদের সম্পৃক্ততা আগের চেয়ে কমেছে। তবে আমি আশাবাদী যে আমরা আরও জোরালোভাবে এই উৎসবের সঙ্গে সম্পৃক্ত হব। এই আয়োজনের মাধ্যমে সাহিত্য অঙ্গনে যে দ্যুতি ছড়াবে, সেটির আলোয় আমরাও আলোকিত হতে চাই।’

ঢাকা লিট ফেস্টের দশম আসরের উদ্বোধন করা হয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে তিন বছর পর এই অনুষ্ঠানটি হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ অডিটরিয়ামে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ চার দিনব্যাপী এই উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

এ সময় নোবেলজয়ী সাহিত্যিক আবদুলরাজাক গুরনাহ, ভারতীয় লেখক ও সাহিত্য সমালোচক অমিতাভ ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।

মণিপুরী নৃত্যের মাধ্যমে ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠান শুরু হয়। যদিও অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল ১০টায়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ঢাকা লিট ফেস্টের তিন পরিচালক সাদাফ সাফ, কাজী আনিস আহমেদ ও আহসান আকবার সবাইকে স্বাগত জানিয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।

উদ্বোধন ঘোষণা করে কে এম খালিদ বলেন, ‘এই আয়োজনের সঙ্গে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় নানাভাবে সম্পৃক্ত থেকেছে। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে তিন বছর পর এই অনুষ্ঠানটি হচ্ছে। আমাদের সম্পৃক্ততা আগের চেয়ে কমেছে। তবে আমি আশাবাদী যে আমরা আরও জোরালোভাবে এই উৎসবের সঙ্গে সম্পৃক্ত হব। এই আয়োজনের মাধ্যমে সাহিত্যাঙ্গনে যে দ্যুতি ছড়াবে, সেটির আলোয় আমরাও আলোকিত হতে চাই।’

অমিতাভ ঘোষ বলেন, ‘বাংলাদেশ, আমার মা-বাবার বাড়ি এই বাংলাদেশে। বাংলা ও বাঙালি আমার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে। এই বাংলাদেশ এক নতুন বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশ এখন জলবায়ু পরিবর্তনে বৈশ্বিক নেতা। এই বাংলাদেশ এখন আঞ্চলিক নেতা। বাংলাদেশের জিডিপি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এ জন্য বাংলাদেশকে অবশ্যই অভিনন্দন জানাতে হয়। অভিনন্দন বাংলাদেশ।’

আবদুলরাজাক ঘুরনাহ মণিপুরী নাচ এবং শিল্পীদের কস্টিউমের প্রশংসা করেন। তিনি অনুষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে উৎসবের সফলতা কামনা করেন।

চার দিনের এই উৎসবে ১৭৫টির বেশি সেশনে অংশ নিচ্ছেন পাঁচ মহাদেশের ৫০০-এরও বেশি বক্তা, শিল্পী ও চিন্তাবিদ।

আয়োজকরা জানান, চার দিনের এই আয়োজনে থাকবে কথোপকথনের একটি বৈচিত্র্যময় মিশ্রণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সেশন, শিশু ও তরুণদের জন্য আকর্ষণীয় আয়োজন, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, নাট্য, সংগীত এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। থাকছে বিজ্ঞান, মহামারি, উদ্ভাবনী, প্রাণ ও প্রকৃতি, মুক্তিযুদ্ধ, চলচ্চিত্র নিয়ে আলোচনা।

বিজ্ঞান এবং উদ্ভাবনী নিয়ে আলোচনা করবেন করোনাভাইরাসের জীবন রহস্য উন্মোচনকারী বিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহা। মহামারির প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করবেন অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার সহ-উদ্ভাবক সারাহ গিলবার্ট। জীবনের গল্প করবেন লেখক সাদাত হোসেইন।

‘সাদা সাদা কালা কালা’ আলোড়ন তৈরি করা গানের গল্প শোনাবেন চলচ্চিত্র পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমন এবং শিবু কুমার শীল। এ ছাড়া নিজেদের পেশাগত পরিবেশ নিয়ে আলোচনা করবেন দেশবরেণ্য সাংবাদিকরা। আরও থাকবে গল্প বলার আসর, সংগীত ও কবিতা চর্চা। আসছেন সাফজয়ী নারী ফুটবল দলের সদস্যরা।

এ ছাড়া নুরুদ্দিন ফারাহ, হানিফ কুরেশী, পঙ্কজ মিশ্র, টিলডা সুইন্টন, জন লি এন্ডারসন, অঞ্জলি রউফ, সারাহ চার্চওয়েল, গীতাঞ্জলি শ্রী, ডেইজি রকওয়েল, এস্থার ফ্রয়েড, অ্যালেকজান্দ্রা প্রিঙ্গেল, ডাইম সারাহ গিলবার্ট, মারিনা মাহাথির, জয় গোস্বামী, কামাল চৌধুরী, মুহম্মদ জাফর ইকবাল, আনিসুল হক, মাসরুর আরেফিন, মারিনা তাবাসসুম, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ইমদাদুল হক মিলন, কায়সার হক, শাহীন আখতার, অমিতাভ রেজা, আজমেরী হক বাঁধনসহ আরও অনেকেই থাকছেন উৎসবের সঙ্গে। থাকবেন দুজন রোহিঙ্গা কবিও।

চার দিনব্যাপী এই আয়োজন শুধু বড়দের জন্যই না, থাকছে শিশুদের জন্যও নানা আয়োজন। শিশুদের বিজ্ঞানচর্চা, বিনোদন, জ্ঞানচর্চার কথা মাথায় রেখে সাজানো হয়েছে ঢাকা লিট ফেস্টের অনুষ্ঠানগুলো।

এ বিভাগের আরো খবর