বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খ্রিষ্টীয় নিউ ইয়ার যেভাবে

  •    
  • ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৯:১৯

চলমান গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের যাত্রা শুরু ১৫৮২ সালে। খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের তৎকালীন সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা পোপ ত্রয়োদশ গ্রেগরি জুলিয়ান পুরোনো ক্যালেন্ডার সংস্কার করে নতুন একটি ক্যালেন্ডার তৈরি করেন। বিশ্বজুড়ে এটিই গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার হিসেবে পরিচিত।

বিদায় নিচ্ছে ২০২২। আসছে নতুন বছর ২০২৩। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের নতুন এই বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব।

চলমান গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের যাত্রা শুরু ১৫৮২ সালে। খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের তৎকালীন সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা পোপ ত্রয়োদশ গ্রেগরি জুলিয়ান পুরোনো ক্যালেন্ডার সংস্কার করে নতুন একটি ক্যালেন্ডার তৈরি করেন। বিশ্বজুড়ে এটিই গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই এই ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে দিন, মাস ও বছরের হিসাব রাখা হয়।

গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার গণনা করা হয়েছে যিশুখ্রিষ্টের জন্মের পর থেকে। তার আগে রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার খ্রিষ্টপূর্ব ৪৫ অব্দে নতুন ক্যালেন্ডার প্রচলন করেন। এটি পরিচিত জুলিয়ান ক্যালেন্ডার হিসেবে। পোপ ত্রয়োদশ গ্রেগরি মূলত এই ক্যালেন্ডারটিই সংস্কার করেন।

জুলিয়ান ক্যালেন্ডারে বছরের শুরুর দিনটি দেবতা জানুসকে উৎসর্গ করা হয়ে থাকে। জানুস পরিচিত ছিলেন রোমানদের গড অফ ডোরস বা প্রবেশদ্বারের দেবতা হিসেবে। তাকে সূচনার দেবতা হিসেবেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। মূলত তার নামানুসারেই বছরের প্রথম মাসটির নাম হয় জানুয়ারি।

বড় পরিসরে ইংরেজি নববর্ষ পালন শুরু হয় ১৯ শতকের গোড়ার দিকে। নতুন বছরের প্রথম দিন ১ জানুয়ারির আগের দিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বরকে বলা হয় নিউ ইয়ার ইভ। বর্ষবরণের উৎসব মূলত এদিন থেকেই শুরু হয়। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়ার আকাঙ্ক্ষা। ঘড়ির কাঁটা যখন রাত ১১টা ৫৯ থেকে ১২টা ছুয়ে ফেলে তখন শুরু হয় বর্ষবরণ উৎসব।

চারদিক আলোকজ্জ্বল করে কিংবা বাজি পুড়িয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয়। একই সঙ্গে পরিবার-পরিজন ও বন্ধুদের নিয়ে চলে পানাহার। পৃথিবীর অনেক দেশেই বছরের প্রথম দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে ছুটি ঘোষণা করা হয়ে থাকে।

মাসগুলোর নাম যেভাবে এলো

খ্রিষ্টীয় বছরের প্রথম মাস জানুয়ারি নামটি এসেছে রোমানদের গড অফ ডোরস বা প্রবেশদ্বারের দেবতা জানুসের নামানুসারে।

ক্যালেন্ডারে দ্বিতীয় মাসটি হলো ফেব্রুয়ারি। প্রাচীন সময়ে ইউরোপজুড়ে বসন্তকালে ফেব্রুয়া নামে একটি উৎসবের আয়োজন হতো। এ সময় ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট পরিষ্কার করার রেওয়াজ প্রচলিত ছিল। এই উৎসবের সময়টিকে স্মরণীয় করে রাখতেই ফেব্রুয়ারি নামটির প্রচলন হয়।

জুলিয়ন ক্যালেন্ডার প্রচলনের আগে মার্চ ছিল রোমানদের বছর শুরুর মাস। রোমান যুদ্ধের দেবতা মার্সের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ইংরেজি তৃতীয় মাসটির নাম রাখা হয়েছে মার্চ। ধারণা করা হয়, এই মাসে রোমানরা যুদ্ধ করত না।

এপ্রিলের নামকরণ নিয়ে দুটি মত প্রচলিত আছে। একটি হলো, লাতিন আরেরিরে থেকে এসেছে এপ্রিল। আরেরিরে শব্দের অর্থ ফোটা বা খোলা। ধারণা করা হয়, এ সময় প্রকৃতি নতুন সাজে সজ্জিত হয় আর এখান থেকেই এপ্রিল নামের উত্পত্তি। আরেক মত অনুযায়ী গ্রিক প্রেমের দেবী অ্যাফ্রোদিতির নাম থেকে এসেছে এপ্রিল।

রোমান দেবী মেইয়াকে বলা হয় শস্য রক্ষাকর্ত্রী। মে মাসে নতুন ফসল ওঠে। আর এ কারণে মেইয়ার নাম থেকে এসেছে মে।

রোমান বিশ্বাস অনুযায়ী দেবতাদের রানি হলেন জুনো। জুনোকে বলা হয় বিয়ের দেবী। রোমানরা এই সময়টিতে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানগুলো আয়োজন করত বলে মনে করা হয়। সেখানে থেকেই জুনোর সঙ্গে মিলিয়ে এসেছে জুন নামটি।

জুলিয়ন ক্যালেন্ডারের প্রবক্তা জুলিয়াস সিজারের নামানুসারে এসেছে জুলাই নামটি।

আর জুলিয়াস সিজারের উত্তরাধিকারী অগাস্টাস সিজারের নামানুসারে নামকরণ করা হয় আগস্ট মাসের।

জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের পূর্ববর্তী রোমান ক্যালেন্ডারে মাস ছিল ১০টি। সেখানে সপ্তম মাসটি ছিল সেপ্টেম্বর। লাতিন ভাষায় সেপ্টেম মানে হলো সাত। পরবর্তী সময়ে ক্যালেন্ডার সংস্কার করা হলেও সেপ্টেম্বর নামটি রেখে দেয়া হয়। আর অক্টো বা আট শব্দটি থেকে এসেছে অক্টোবর। একইভাবে নোভেম বা নয় থেকে নভেম্বর আর ডিসেম বা দশ থেকে এসেছে ডিসেম্বর মাসের নাম।

এ বিভাগের আরো খবর