বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

২০২৩-এ ভালো থাকার ‘তেইশ’ উপায়

  •    
  • ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৭:৩৯

অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের মধ্যে পার্থক্য করে সময়। তাই সময়কে রাতারাতি বদলানোর কথা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। পুরোনো বছর থেকে পাওয়া শিক্ষা কাজে লাগিয়ে সুন্দর একটা বছর কাটাতে পারেন আপনিও।

দেখতে দেখতে কেটে গেল আরও একটি বছর। নতুন বছর আসলে জীবনকে নতুনভাবে শুরু করার দারুণ এক সুযোগ এনে দেয়। তাই শুরু থেকে যদি পরিকল্পনা সাজানো যায়, তবে মনে রাখার মতো আরেকটি বছরে পা রাখতে যাচ্ছেন আপনি!

২০২৩ সালকে আরও উপভোগ্য করতে নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য কিছু টিপস দেয়া হলো। লেখক রোমানো স্যান্টোসের দেয়া এসব টিপস আপনার জীবনেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে-

১. বদলাবেন না

নতুন বছরের আগমন আপনাকে মনে করিয়ে দিতে পারে যে জীবনে কিছু বড় পরিবর্তন করতে হবে। তবে বর্তমান জীবনকে আপনি যদি উপভোগ করেন, তবে বদলানোর প্রয়োজন নেই... অন্তত এই মুহূর্তে।

ছুটির দিনে যদি আপনি বাড়িতে ঘুমিয়ে কাটাতে পছন্দ করেন, তবে তাই করুন। এমনটা করে যদি সবকিছু ঠিকঠাক চলে, তাহলে সমস্যা কী!

২. পরিবারকে ফোন করুন

হ্যাঁ, পরিবারের সঙ্গে আপনার আরও বেশি সময় কাটানো উচিত। তবে এতে যদি পরিবার বিরক্ত হয়, তবে বাদ দিন। পরিবারের বাইরের মানুষেরা কিন্তু সব সময় খারাপ হয় না। তাদের সঙ্গে প্রাণ খুলে আড্ডা দিন। পরিচিত কেউ অসুস্থ হলে তার কাছে ছুটে যান। তবে এতে যদি দীর্ঘ মেয়াদে আপনার মন খারাপ থাকে, তাহলে না গেলেই ভালো। ফোনে খোঁজখবর নিতে পারেন।

৩. অফিসের সব ছুটি কাজে লাগান

অসুস্থ হলে কাজ করবেন না। অফিসকে জানান, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য আপনার একটা ব্রেক দরকার। ছুটির ক্যালেন্ডারের সঙ্গে পরিকল্পনা সাজিয়ে নিন এবং এটি অনুসরণ করুন।

৪. অফিস থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নিন

অফিসে আপনার পাওয়া ছুটিগুলো বুঝে নিন। এ কাজ করে আপনি কী কী সুবিধা পাচ্ছেন তার তালিকা করুন। বসকে আরও বেশি বেশি প্রশ্ন করুন। হয়তো দেখা যাবে, নতুন বছরে আপনার ইন্টারনেট খরচ আপনার অফিস বহন করতে পারে অথবা নতুন কিছু একটা কেনার জন্য টাকা দিতে পারে। মনে রাখবেন, এমন আবদারের জন্য বস আপনাকে ছাঁটাই করবেন না।

৫. পরিস্থিতি তৈরি করুন

নিজেকে খুশি রাখার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছুই নেই। আপনিই আপনার দুনিয়া। তাই সব সময় চারপাশে হাসিখুশি আবহ তৈরির চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন, জীবন অল্প দিনের। দেখতে দেখতে কেটে যায়। তাই যতটা সম্ভব জীবনকে উপভোগ করুন।

৬. ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লাইক দেয়া বন্ধ করুন

অন্যদের আনন্দ-কষ্ট নিজের মধ্যে ধারণ করা বিরাট ব্যাপার। আপনার বন্ধুদের স্টোরিতে অন্তত একটি ইমোজির সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে সাহস জোগাড় করুন।

৭. সুখের সন্ধান করুন

দূষিত আনন্দ (গিলটি প্লেজার) বলে কিছু নেই। কারণ ভালো বোধ করলে আপনার খারাপ বোধ হবে না। ফৌজদারি অপরাধ কিংবা কাউকে আঘাত করা বাদে যে জিনিসগুলো আপনি উপভোগ করেন সেগুলোর জন্য লজ্জিত হওয়ার দরকার নেই। সেগুলো উপভোগ করতে থাকুন।

৮. রহস্যময় কিছুর চেষ্টা করুন

এর জন্য আপনাকে খুব বেশি ভাবতে হবে না। জ্যোতিষশাস্ত্র নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করুন। আপনার যে বন্ধু এ বিষয়ে পারদর্শী তার সঙ্গে কথা বলুন। এটা ভালো না লাগলে সামাজিক বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ঘুরে আসুন। এখানে অন্য এক আপনাকে খুঁজে পাবেন হয়তো।

৯. ব্যবহারিক কিছু শিখুন

আমরা এমন একটি সমাজে বাস করি যেখানে একটি স্ক্রিনে কয়েকটি বোতাম টিপে বেশির ভাগ কাজ করা যায়। মনে রাখবেন, আপনার মন ও শরীর এর চেয়ে অনেক বেশি কিছু করতে সক্ষম। মিউজিক বাজান, খাবার রান্না করেন কিংবা গাড়ি চালান- এগুলো আপনাকে ব্যবহারিক কাজের আনন্দ দেবে।

১০. সামর্থ্যের সবটুকু ব্যবহার করুন

বেঁচে থাকার জন্য আপনাকে যে কাজটি করতে হবে তার বাইরে কখন কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং কখন এটিকে সহজভাবে নিতে হবে তা পুরোপুরি আপনার ওপর নির্ভর করে।

যে বিষয়গুলো মনকে ক্লান্ত করে এগুলো এড়ানো উচিত। আপনি যদি আপনার চাকরিকে সত্যিই উপভোগ করেন এবং এটি যদি আপনার জীবনে গতি আনে তবে সেখানে সর্বোচ্চটা ঢেলে দিন।

১১. আরও ভালো ছবি এবং ভিডিও করুন

আপনি যা মনে রাখতে চান তা মনে রাখার আরও উপায় আছে। আপনি কীভাবে আরও ভালো ছবি এবং ভিডিও তুলতে পারেন সে সম্পর্কে হাজার হাজার নিবন্ধ এবং ভিডিও রয়েছে৷ ঘেঁটে দেখুন।

১২. স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হোন

এই বিষয়গুলো আমরা সবাই কমবেশি জানি। তারপরও নিজেকে বারবার মনে করিয়ে দিতে হবে যে- আরও পানি খেতে হবে, ভালো ঘুম প্রয়োজন, নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে, সূর্য থেকে কিছু ভিটামিন গ্রহণ করুন। সবশেষ, অবশ্যই মাঝেমধ্যে শারীরিক পরীক্ষা করুন৷

১৩. সামাজিক প্ল্যাটফর্মের কিছু বিষয় সম্পর্কে বই পড়ুন

টিকটক বা পডকাস্টে শুনেছেন এমন কোনো বিষয় যদি আপনার মনকে আন্দোলিত করে তবে আরও তথ্যের জন্য আপনি এ বিষয়ের ইতিহাস ঘেঁটে দেখতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে এতে মন আরও প্রফুল্ল হয়।

১৪. খারাপ মেজাজকে জড়িয়ে ধরুন

কেউই সব সময় খুশি থাকে না। আর কেউ থাকেলও তার মানে এই নয় যে, আপনাকে তা হতে হবে। আপনার অনুভূতি অনুভব করুন। নেতিবাচক আবেগ থেকে বেরোতে আপনার যতটা সময় প্রয়োজন, তা নিন। এসব আবেগ যত পুষে রাখবেন, আপনি ততই অসুখী হবেন।

১৫. এড়িয়ে যাওয়া শিখুন

চারপাশের কিছু মানুষ আছে যারা প্রতিনিয়ত আপনাকে বিরক্ত, অপমান কিংবা আঘাত করার চেষ্টায় থাকে। এগুলো হয়তো সব সময় এড়িয়ে যাওয়া যায় না। নতুন বছরে আপনাকে এগুলোকে পুরোপুরি এড়িয়ে চলা শিখতে হবে। তাদের সম্পর্কে চিন্তা করাও যাবে না।

১৬. কিছু মানুষকে ক্ষমা করুন

আমাদের রেগে যাওয়া কিংবা হতাশ হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। এর পাশাপাশি ক্ষমা করারও অনেক কারণ থাকে। হতে পারে ব্রেকআপ হয়ে গেছে কিংবা বন্ধুত্বের সম্পর্কটা খারাপ হয়ে গেছে। চেষ্টা করুন, সম্পর্কটাকে সুন্দর করা যায় কি না। যাদের অপর রেগে আছেন তাদের ক্ষমা করে দিন। যদিও বিষয়টা এতটা সহজ না। তবে ওই ব্যক্তির সঙ্গে আপনার ভালো স্মৃতিগুলো এ ক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করবে নিশ্চিতভাবে।

১৭. নির্ভার হোন

অনেকে আছেন যারা নিজের বা অন্যের প্রত্যাশার ভার বহন করেন। কাঁধ থেকে এই ভার নামিয়ে ফেলুন। কারণ যখন থেকে এটা আপনার কাছে বোঝা মনে হবে, সেদিন থেকে আপনি পিছিয়ে পড়তে শুরু করবেন। এভাবে কখনোই কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আপনার কাছে ধরা দেবে না। তাই নির্ভার থাকুন, জীবনটাকে উপভোগ করুন।

১৮. কিছু নতুন যৌনকৌশল শিখুন

হতে পারে আপনি যৌন সম্পর্কে দারুণ। তবে এর অর্থ এই নয় যে অভিনব নতুন কৌশল বা আপনি শিখবেন না। এগুলো আপনার জীবনে বৈচিত্র্য আনবে। মনকে সতেজ রাখবে।

১৯. কিছু সম্পর্কে যত্ন নেয়া শুরু করুন

পৃথিবীতে অনেক কিছুই ঘটছে। অনেক কিছুর পরিবর্তন হচ্ছে। কিছু বিষয় ৫ বা ১০ বছরের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হবে, অন্যগুলো কেবল সময়ের অপচয়। আপনার কাজে আসবে সে বিষয়গুলো বাছাই করুন। তারপর সেসবের ওপর বেশি গুরুত্ব দিন। এতে সময়ের অপচয় কমার পাশাপাশি ভবিষ্যতে আপনি লাভবানও হতে পারেন।

২০. কিছু বিষয় নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখুন

সবকিছু সবার সঙ্গে শেয়ার না করাই ভালো। কিছু বিষয় আছে যেগুলো গোপন রাখার মতো আনন্দ আর কোথাও পাবেন না। ধরেন, কারও সঙ্গে আপনি ডেটে গেছেন, চমৎকার একটা সন্ধ্যা উপভোগ করলেন। অথবা বন্ধুমহলে আলোচিত একটি বারে ঢুকে দু-পেগ পান করেছেন। এ বিষয়গুলো নিজের মধ্যেই রাখা ভালো।

২১. বই পড়ুন, গান শুনুন, সিনেমা দেখুন

দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় বিনোদনের জন্য বরাদ্দ রাখুন। সারা দিনের ক্লান্তি শেষে বাড়ি ফিরে পছন্দের বইটি নিয়ে নড়াচড়া করুন। ভালো না লাগলে, সিনেমা দেখুন। গান তো সব সময় আপনার চারপাশে থাকেই।

২২. অনলাইনে খুঁতখুঁতে হওয়া ভালো

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক কিছুই আপনার পছন্দ হয় না। তাই বলে এসব নিয়ে ভেবে সময়ের অপচয় করবেন না। যে চ্যানেল বা প্রোফাইল আপনার ভালো লাগে, তাদের সঙ্গেই বেশি সময় কাটান। আর যেগুলো আপনাকে বিরক্ত করে সেগুলোকে আনফলো করতে দ্বিতীয়বার ভাববেন না।

২৩. হাসুন এবং হাসান

মনে রাখবেন, আপনি ছাড়া কিন্তু চারপাশের অস্তিত্ব একেবারেই মূল্যহীন। নিজেকে সব সময় প্রফুল্ল রাখার চেষ্টা করুন। পাশাপাশি অন্যকেও আনন্দ দেয়ার উপায় খুঁজুন। দেখবেন, জীবনটা মন্দ না।

এ বিভাগের আরো খবর