তরুণ-যুবাদের কারিগরি প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে উন্নত জীবন গঠনের লক্ষ্যে নেয়া উত্তরণ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায় শেষ হয়েছে। ঢাকার শেরাটন হোটেলে বৃহস্পতিবার সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সুইসকন্ট্যাক্ট বাংলাদেশ।
প্রকল্পটির দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হয় ২০১৯ সালে। যুবাদের কারিগরি প্রশিক্ষণ দেয়া, সিলেট সিটি করপোরেশনের সঙ্গে অংশীদারত্বের মাধ্যমে ভোলানন্দ উত্তরণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আধুনিকায়ন এবং খুলনা শিপইয়ার্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বে অ্যাডভান্সড ওয়েল্ডিং প্রশিক্ষণ দেয়া ছিল মূল উদ্দেশ্য। প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করেছে শেভরন এবং বাস্তবায়নে রয়েছে সুইসকন্ট্যাক্ট।
প্রকল্পটির প্রথম পর্যায় ২০১৬ সালে শুরু হয়ে শেষ হয় ২০১৯ সালে। এর মধ্য দিয়ে সিলেট অঞ্চলের এক হাজার ৪০০ যুবক-তরুণকে কারিগরি প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
দ্বিতীয় পর্যায়ের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেন। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) নাসরীন আফরোজ এবং শেভরন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর এরিক এম ওয়াকার।
সুইসকন্ট্যাক্ট বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মুজিবুল হাসান বলেন, ‘আমরা সবাই উত্তরণ প্রকল্পের অর্জনকে উদযাপন করতে একত্রিত হয়েছি। এর লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের তরুণদের জীবনে পরিবর্তন নিয়ে আসা। উত্তরণ ২০১৬ সালে যাত্রা শুরু করে। এই ছয় বছরে আমরা অনেকটা পথ পাড়ি দিয়েছি। আমরা ত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু পেয়েছি।’
ঢাকা, সিলেট ও খুলনা অঞ্চলে কাজ করেছে উত্তরণ প্রকল্প। দেশের প্যাকেজিং শিল্পের চাহিদা পূরণে উত্তরণ প্রকল্প বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো একটি নতুন ট্রেড, প্যাকেজিং ও ফিনিশিং অপারেশন চালু করেছে। জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করার পর তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অনুমোদন পেয়েছে।
ওয়েল্ডিং ইনস্পেকশন পেশার সনদের জন্য একটি কম্পিটেন্সি স্ট্যান্ডার্ড জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের যাচাইয়ের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।