বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সদরঘাটে ভিড়ছে লঞ্চ, সচল নৌচলাচল

  •    
  • ২৮ নভেম্বর, ২০২২ ২১:৫৭

ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণার পর সোমবার রাতে সদরঘাটে পন্টুনে ভিড়তে শুরু করে লঞ্চগুলো। কর্মতৎপর হয়ে উঠেছেন নৌ-যান শ্রমিকরাও। তবে যাত্রী সংখ্যা খুবই কম। আর পর্যাপ্ত যাত্রী না থাকায় রাতে সদরঘাট থেকে দক্ষিণাঞ্চল অভিমুখে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যাবে না জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সরকারের সঙ্গে আলোচনায় দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে কাজে ফিরেছে নৌযান শ্রমিকরা। এর পর পরই রাজধানীর প্রধান নদীবন্দর সদরঘাটে ভিড়তে শুরু করেছে লঞ্চ। সচল হচ্ছে নৌযান চলাচল।

সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে সোমবার রাত ৯টা পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়, শ্যামবাজার ঘাট ও বাবুবাজার ব্রিজের নিচে নোঙর করে থাকা লঞ্চগুলো ঘাটের পন্টুনে ভিড়তে শুরু করেছে। চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, বরগুনাসহ দক্ষিণাঞ্চলগামী বেশকিছু লঞ্চ ভেড়ানো হয় ঘাটে৷ কর্মতৎপর হয়ে উঠেছেন নৌ-যান শ্রমিকরাও। তারা লঞ্চ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করাসহ নানা কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। পন্টুনে পড়ে থাকা মালামালও পণ্যবাহী লঞ্চে তুলতে দেখা যায়।

নৌ-যান ধর্মঘট প্রত্যাহারের খবর শুনে যাত্রীরাও আসতে থাকেন সদরঘাটে। তবে যাত্রী সংখ্যা খুবই কম। আর পর্যাপ্ত যাত্রী না থাকায় রাতে সদরঘাট থেকে দক্ষিণাঞ্চল অভিমুখে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যাবে না জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

লঞ্চ-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যাত্রী হলে রাতেই সব রুটে ছাড়বে লঞ্চ। তবে যাত্রী না হলে ভোর থেকে শুরু হবে স্বাভাবিক লঞ্চ চলাচল। রাতে কাছের রুটগুলোতে কিছু লঞ্চ ছাড়তেও পারে। তবে বরিশালসহ দূরবর্তী রুটগুলোতে ন্যূনতম যাত্রী না হলে রাতে লঞ্চ ছেড়ে যাবে না।

সুন্দরবন-১৬ লঞ্চের সুপারভাইজার আল-আমিন বলেন, ‘আমরা অপেক্ষা করছি। যাত্রী হলে রাত ১২টা বা ১টা বাজলেও লঞ্চ ছাড়বো। যাত্রী না হলে তো ছেড়ে লাভ নেই। তেল খরচটা তো অন্তত উঠতে হবে।’

নৌ-যান ধর্মঘট প্রত্যাহারের পর সোমবার রাতে যাত্রীরা সদরঘাটে এলেও তা সংখ্যায় কম হওয়ায় লঞ্চ ছাড়া নিয়ে ছিল অনিশ্চয়তা। ছবি: নিউজবাংলা

ঘাটে অপেক্ষায় থাকা বরিশালগামী যাত্রী রফিক মোল্লা বলেন, ‘বিকালে ঘাটে আসছি। মিটিং হচ্ছে শুনে ঘাটেই অবস্থান করেছি। এখন ঘাটে লঞ্চ ভিড়ছে। কিন্তু লঞ্চের লোকজন বলছে, যাত্রী হলে তারা রাতেই ছেড়ে যাবে। একটা অনিশ্চয়তা নিয়ে অপেক্ষা করছি।’

লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণাটা এমন একটা সময় এসেছে যে এই সময়ে যাত্রী পাওয়া যাবে না। চাঁদপুরসহ কাছের রুটগুলোতে লঞ্চ যেতে পারে। তবে বরিশালের লঞ্চ আজ যাবে না।’

বিআইডব্লিউটিএ সদরঘাটের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. শহীদ উল্যাহ বলেন, ‘সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে লঞ্চগুলো টার্মিনালের পন্টুনে ভিড়তে শুরু করেছে। মধ্যরাত থেকেই লঞ্চ ছাড়ার কথা রয়েছে। যাত্রী হলেই লঞ্চ চলবে।’

‘রহমত’ নামের চাঁদপুরগামী লঞ্চটি রাত ১২টা ৫ মিনিটে ঘাট ছেড়ে যাবে বলে জানান তিনি।

ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকাসহ ১০ দফা দাবিতে শনিবার মধ্যরাত থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের নৌ-যানের শ্রমিকরা ধর্মঘটে যায়। শুক্রবার নৌপরিবহন মন্ত্রী খালিদ মাহমুদের সঙ্গে মালিক-শ্রমিক পক্ষের একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে মালিক পক্ষ দাবি মেনে নিতে এক মাস সময় চাইলে শ্রমিকরা তাতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ধর্মঘটে যায়।

পণ্যবাহী নৌযানের সঙ্গে সারাদেশে নৌপথে যাত্রী পরিবহন বন্ধ করে দেয় শ্রমিকরা। এতে ঢাকা থেকে যেমন কোনো ‍রুটে নৌযান ছেড়ে যায়নি, তেমনই সদরঘাটে কোনো নৌযান আসেনি। অচল হয়ে পড়ে প্রধান দুই বন্দর চট্টগ্রাম ও মোংলা।

নৌ-শ্রমিকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- বেতন-ভাতা ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা, কর্মস্থলে মৃত্যুকালীন ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা, শ্রমিকদের নিয়োগপত্র প্রদান, প্রভিডেন্ট ফান্ড ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠন, ভারতগামী জাহাজ শ্রমিকদের সেদেশের ল্যান্ডিং পাস সরবরাহ করা, ঢাকা-চট্টগ্রাম পাইপলাইন স্থাপন প্রকল্প বাতিল করা, লাইটার জাহাজকে ডব্লিউটিসির সিরিয়াল অনুযায়ী পণ্য পরিবহনে বাধ্য করা, চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে যাতায়াতে তৈরি করা চড়পাড়া ঘাটের ইজারা বাতিল করা এবং নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ করা।

এ বিভাগের আরো খবর