বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ওয়ানগালায় মুখরিত গারো পাহাড়

  •    
  • ২০ নভেম্বর, ২০২২ ২১:২৬

গারোদের বিশ্বাস, প্রভু আশির্বাদ করলে পরের বছরও ভাল ফলন হবে। এর মাধ্যমে প্রভু তাদের পরিবারের জন্য দয়া করে থাকেন। এ দিনটি উদযাপনে তারা নতুন পোশাক পরেন, আত্মীয়-স্বজন-বন্ধুরা এক হন, বাড়ি-বাড়ি চলে অতিথি আপ্যায়ন। 

নাচ-গান ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে নতুন ফসল ঘরে তুলেছে শেরপুরের গারো পাহাড়ের বাসিন্দারা। মরিয়মনগর সাধু জর্জের ধর্মপল্লীর গির্জা চত্বরে রোববার দিনভর এই সম্প্রদায় মেতে ছিল এই ওয়ানগালা উৎসবে।

গির্জা চত্বরে সকাল ৯টায় থক্কা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ওয়ানগালা উৎসব শুরু হয়। দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ প্রার্থনায় অংশ নেন গারো সম্প্রদায়ের কয়েকশ মানুষ। প্রার্থনা পরিচালনা করেন মরিয়মনগর ধর্মপল্লীর সহকারী পালপুরোহিত ও খামাল ফাদার রবার্ট দিলীপ গোমেজ।

প্রার্থনা শেষে গারোদের ভাষায় গান ও নাচ পরিবেশিত হয়। এরপর বাড়ি বাড়ি গিয়ে হই-হুল্লোড়ে এলাকা জমিয়ে তোলেন গারো শিশু-কিশোররা।

এই সম্প্রদায়ের বিশ্বাস, তাদের শস্য দেবতা এক সময় পাহাড়ি এলাকার গারোদের হাতে কিছু শস্য দিয়ে বলেছিলেন, ‘তোমরা এটা রোপন কর, তাতে তোমাদের আহারের সংস্থান হবে এবং তোমরা যে শস্য পাবে তা থেকে সামান্য কিছু শস্য আমার নামে উৎসর্গ করবে।’ এরপর থেকেই তারা ঘটা করে নতুন ফসল তাদের শস্য দেবতা ‘মিসি সালজংকে’ উৎসর্গ করে আসছিল।

এ কারণে এই উৎসবের নাম গারো ভাষায় ওয়ানগালা; ওয়ানা অর্থ দেব-দেবীকে দানের সামগ্রী ও গালা অর্থ উৎসর্গ। এখন অবশ্য এই সম্প্রদায়ের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা যিশু খ্রিস্টকে নতুন ফসল উৎসর্গ করে।

সাধারণত বর্ষার শেষে ও শীতের আগে, নতুন ফসল তোলার পর এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।

ওয়ানগালায় অংশ নেয়া প্লাবন চিসিং বলেন, ‘নতুন ফসল হওয়ার পর আমরা প্রভুকে আগে উৎসর্গ করে থাকি। তারপর আমরা খাই। এইটা নবান্ন উৎসবের মতোই। কিন্তু আমরা এইটাকে ওয়ানগালা হিসেবে পালন করি।’

গারো শিক্ষার্থী রাইয়ুম, থানকা মিম ম্র‍ং ও সানাতিনিং মিংজা জানান, তাদের বিশ্বাস প্রভু আশির্বাদ করলে পরের বছরও ভাল ফলন হবে। এর মাধ্যমে প্রভু তাদের পরিবারের জন্য দয়া করে থাকেন। এদিনটি উদযাপনে তারা নতুন পোশাক পরেন, আত্মীয়-স্বজন-বন্ধুরা এক হন, বাড়ি-বাড়ি চলে অতিথি আপ্যায়ন।

উৎসব ঘিরে ধর্মপল্লীর পাশে গারোদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও শিশুদের নানা খেলনা নিয়ে বসেছে মেলাও।

এ বিভাগের আরো খবর