বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটির মাইলফলক ছুঁয়েছে, জাতিসংঘ এমনটি জানিয়েছে। চীনকে হটিয়ে ২০৫০ সালে বিশ্বে সবচেয়ে জনবহুল দেশ হবে ভারত। বাংলাদেশ বিশ্বে অষ্টম বৃহত্তম জনবহুল দেশ।
বিশ্বসংস্থাটির জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) হিসাব অনুযায়ী, এই সংখ্যা ৭০০ কোটি থেকে ৮০০ কোটিতে পৌঁছাতে লেগেছে মাত্র ১১ বছর। তবে এটি ৯০০ কোটি ছুঁতে ১৫ বছর লাগবে। সেই হিসাবে বলা যায়, বৈশ্বিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার আগের চেয়ে কমবে।
ধারণা করা হচ্ছে, ২০৮০ সালে জনসংখ্যা বেড়ে ১০ বিলিয়নের মাইলফলক স্পর্শ করার পর আর বাড়বে না। বৃদ্ধি তখন নিম্নমুখী হবে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, বিশ্বের জনসংখ্যা নির্ভূলভাবে গণনা করা খুবই কঠিন কাজ, তবে ১৫ নভেম্বর বিশ্ব জনসংখ্যা ৮ বিলিয়নের মাইলফলক স্পর্শ করেছে বলে তাদের কাছে যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত রয়েছে।
এই জনসংখ্যাকে মানব সভ্যতার অগ্রযাত্রায় সম্ভাবনা হিসেবে দেখছে জাতিসংঘ। ইউএনএফপিএ জানিয়েছে, এই বিপুল জনসংখ্যাকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজে লাগাতে পারলে অসীম সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যাবে মানবসভ্যতা। জনসংখ্যা ৮০০ কোটিতে পৌঁছানোর ব্যাপারটি মানবজাতি এবং এই পৃথিবীর জন্য আরেকটি মাইলফলক।
ইউএনএফপিএর হিসাব অনুযায়ী, বৈশ্বিক জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলো। অন্যদিকে ইউরোপের দেশগুলোতে জনসংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমছে। দেশ হিসেবে সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা বেড়েছে ভারতে।
বিশ্বের ৮০০ কোটি জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ মানুষ বাস করে এশিয়ার দুই দেশ ভারত ও চীনে। ভারতে ১৩৯ কোটির বেশি মানুষ বসবাস করছে। চীনের জনসংখ্যা ১৪১ কোটি। ভারতে প্রতিদিন ৮৬ হাজার শিশু জন্ম নিচ্ছে। অন্যদিকে চীনে দিনে জন্ম নিচ্ছে ৪৯ হাজার ৪০০ শিশু। এই হার অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সালে ভারত হবে বিশ্বের শীর্ষ জনসংখ্যার দেশ। ২০৬০ সালে দেশটির জনসংখ্যা হবে ১৬৫ কোটি।
বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২ দশমিক ২ শতাংশ রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে উল্লেখ করে বলা হয় বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৭ কোটি ১০ লাখ। ২০৫০ সালে বাংলাদেশ বিশ্বে হবে দশম জনবহুল দেশ।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্থনিও গুতেরেস বলেন, এই মাইলফলক যেমননি মানবজাতির অগ্রগতি ও বৈচিত্রের বার্তা তুলে ধরেছে তেমনি এর মধ্যে দিয়ে বিশ্ববাসীর এই ধরনীর প্রতি দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল।
সংস্থাটি জানিয়েছে, মানবজাতির অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির কারণে বেড়েছে জনসংখ্যা। জনস্বাস্থ্য, ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা ও উন্নত ওষুধ এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।