বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মানসিক হাসপাতালে পরিচয়-প্রেম, এরপর বিয়ে

  •    
  • ১৩ নভেম্বর, ২০২২ ২১:১৩

৪২ বছরের মহেন্দ্রন বাইপোলার ডিসঅর্ডারে ভুগছিলেন। এটি এমন একটি রোগ যেখানে আক্রান্ত ব্যক্তি নতুন নতুন বিষন্নতায় ভোগেন। এই অবস্থা কয়েকদিন থেকে কয়েক সপ্তাহ স্থায়ী হয়ে থাকে। অন্যদিকে ৩৬ বছরের দীপা বাবার মৃত্যুর শোকে মানসিক চাপে ছিলেন।

মহেন্দ্রন ও দীপার প্রথম দেখা এবং তা থেকে প্রেম। শেষ পর্যন্ত সম্পর্ক গড়িয়েছে বিয়েতে। এটা আর দশটা ঘটনা থেকে ভিন্ন কিছু না হলেও পুরো ঘটনাপ্রবাহ ছিল একেবারেই ব্যতিক্রম।

ঘটনার শুরু ভারতের চেন্নাইয়ের ২২৫ বছরের পুরোনো মানসিক হাসপাতাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথে (আইএমএইচ)। এশিয়ার সবচেয়ে পুরোনো ও বড় এই মানসিক হাসপাতালে ২০২০ সালে চিকিৎসা নিতে আসেন মহেন্দ্রন ও দীপা।

৪২ বছরের মহেন্দ্রন বাইপোলার ডিসঅর্ডারে ভুগছিলেন। এটি এমন একটি রোগ যেখানে আক্রান্ত ব্যক্তি নতুন নতুন বিষন্নতায় ভোগেন। এই অবস্থা কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ স্থায়ী হয়ে থাকে। অন্যদিকে ৩৬ বছরের দীপা বাবার মৃত্যুর শোকে মানসিক চাপে ছিলেন।

প্রথম দেখাতেই দীপাকে ভালো লেগে যায় মহেন্দনের। সরাসরি প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বসেন তিনি। এতে সাড়া দিতে অবশ্য সময় নিয়েছিলেন দীপা।

দীপা বলেন, ‘আমি তাড়াহুড়ো করে উত্তর দিতে পারছিলাম না, তাই সময় চেয়েছিলাম। যখন ‘হ্যাঁ’ বলেছিলাম, তখন সে খুশিতে লাফিয়ে উঠেছিল।’

চিকিৎসক, নার্স এবং অন্যান্য আইএমএইচ কর্মীদের উপস্থিতিতে হাসপাতাল ভবনেই গত ২৮ অক্টোবর তারা গাঁটছড়া বাঁধেন। উপস্থিত ছিলেন তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী মা সুব্রামানিয়ান।

সুব্রামানিয়ানকে উদ্ধৃত করে এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ‘এটা আসলেই অন্য রকম বিয়ে ছিল। আমার জীবনে এমন অভিজ্ঞতা একেবারেই প্রথম।’

হাসপাতালকর্মীদের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, ‘সবাই পরিবারের মতো আচরণ করেছে। অনুষ্ঠানটি একজন পুরোহিত এবং দুই পক্ষের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয়েছিল।’

বিয়েতে নতুন দম্পত্তি অনেক উপহার পেয়েছেন। তবে সবকিছু ছাপিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুব্রামানিয়ানের উপহারটি সবাইকে অবাক করেছে। নয়া দম্পতিকে ১৫ হাজার রুপি বেতনে ওই হাসপাতালের ওয়ার্ড ম্যানেজারের চাকরি দিয়েছেন মন্ত্রী।

আইএমএইচের পরিচালক ডক্টর পূর্ণ চন্দ্রিকা অনুষ্ঠানটিকে ‘পারিবারিক বিয়ে’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘তারা দুজনে মিলে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এতে আমরা সবাই খুব খুশি।’

চিকিৎসাধীন অবস্থায় মহেন্দ্রন হাসপাতালের ডে-কেয়ার সেন্টারে কাজ করতেন। আর দীপা হাসপাতালের রোগীদের মাধ্যমে পরিচালিত ক্যাফেতে কাজ করতেন। তারা দুজনেই হাসপাতালের ‘হাফ ওয়ে হোম’-এ থাকতেন। এটি সুস্থ হয়ে ওঠাদের আবাসিক ক্যাম্পাস।

এ বিভাগের আরো খবর