বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক দায়িত্ব নেয়ার পর গত শুক্রবার প্রায় অর্ধেকের মতো কর্মী ছাঁটাই করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার। ব্যাপক জনপ্রিয় আরেক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাতৃপ্রতিষ্ঠান মেটাও একই ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বলে জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
সংবাদমাধ্যমটির বরাত দিয়ে এনডিটিভির সোমবারের প্রতিবেদনে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবরে বলা হয়, চলতি সপ্তাহেই বড় পরিসরে ছাঁটাই শুরুর পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে মেটা প্ল্যাটফরমস ইনকরপোরেটেড, যার প্রভাব পড়বে হাজারো কর্মীর ওপর। বুধবার নাগাদ এ নিয়ে ঘোষণা আসতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চায়নি মেটা।
চলতি বছরের শেষ প্রান্তিকটা সুবিধাজনক হবে না বলে অক্টোবরে আভাস দিয়েছিল মেটা।
এ বছর কোম্পানিটি ৫০ হাজার কোটি ডলারের বেশি দর হারিয়েছে। আগামী বছর পুঁজিবাজারে কোম্পানিটি আরও প্রায় ৬ হাজার ৭০০ কোটি ডলার দর হারাবে বলে পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে ধীরগতির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানি টিকটকের দাপট, অ্যাপলের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নীতির পরিবর্তন, মেটাভার্সে বিপুল বিনিয়োগ নিয়ে শঙ্কা এবং সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফরম নিয়ন্ত্রণে স্থায়ী হুমকির মধ্যে নেতিবাচক পূর্বাভাস দিয়েছে মেটা।
কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন, মেটাভার্সে বিনিয়োগের সুফল পেতে প্রায় এক দশক লাগবে বলে আশাবাদী তিনি। এমন বাস্তবতায় খরচ কমাতে তাকে নিয়োগ ও প্রকল্প বন্ধ এবং কর্মী সংখ্যা পুনর্বিন্যাস করতে হয়েছে।
অক্টোবরের শেষের দিকে জাকারবার্গ বলেছিলেন, ২০২৩ সালে অগ্রাধিকারের শীর্ষে থাকা আয়ের খাতগুলোর দিকে নজর দেবে মেটা। ফলে কিছু বিভাগ বাড়তি নজর পাবে। অন্যদিকে বেশ কিছু বিভাগে তেমন উন্নতি দেখা যাবে না কিংবা এগুলো সংকোচন করা হবে।
তিনি আরও বলেছিলেন, আগামী বছর কোম্পানির আকার একই থাকবে কিংবা সামান্য ছোট হবে।