তুলা থেকে সুতা কেটে রাঙ্গামাটির রাজবন বিহারে শুরু হয়েছে দুইদিনের কঠিন চীবর দানোৎসব।
বেইনঘরের ফিতা কেটে বৃহস্পতিবার বিকেলে এর উদ্বোধন করেন বিহারের আবাসিক প্রধান ভদন্ত শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির। এরপর চরকায় তুলা থেকে সুতা কেটে বেইন উদ্বোধন করেন চাকমা রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় ও তার সহধর্মিনী রাণী য়েন য়েন।
এ উপলক্ষে বুদ্ধমূর্তিদান, অষ্টপরিষ্কার দান, পঞ্চশীল প্রার্থনা, সুত্রপাঠ, ধর্মীয় দেশনা, তুলা উৎসর্গসহ নানা রকম দানের রীতি পালন করা হয়।
কঠিন চীবর দানোৎসবকে ঘিরে রাজবন বিহারে প্রতিবারই দূর-দূরান্ত থেকে হাজারো পুণ্যার্থীর ঢল নামে। এবার লক্ষাধিক পূন্যার্থীর সমাগম হবে বলে দাবি বিহার পরিচালনা কমিটির।
উৎসবে আসা পূণ্যার্থী বর্ষা চাকমা বলেন, ‘বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ বিহার রাঙামাটি রাজবন বিহার। এ বিহারে লাখো মানুষের সমাগম দেখা যায়। শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের বুদ্ধগয়া থেকেও রাজবন বিহারে বৌদ্ধ পূণ্যার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। আমিও এবারের কঠিন চীবর দানে অংশ নিতে পেরে খুবই আনন্দিত।’
আরেক পূণ্যার্থী সুম্মিতা চাকমা বলেন, ‘বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের কঠিন চীবর দান হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ একটি দান। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা এবং সুতা থেকে কঠিন চীবর তৈরি করে ভান্তেদের উদ্দেশ্য দান দেয়া। এবারে ৪৯তম দান অনুষ্ঠিত হচ্ছে।’
রাজবন বিহারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর যে উপদ্রব তা চলে না গেলেও আগের চাইতে অনেক ভালোর দিকে যাচ্ছি। পার্বত্য চট্টগ্রাম তথা সমগ্র বিশ্ব থেকে এ উপদ্রব চলে যাক। তবে শুধু কোভিড-১৯ নয় ডেঙ্গুও কিছুটা রয়ে গেছে।
‘আমাদের প্রার্থনা হবে, এখানে পার্বত্য চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক। বাংলাদেশের যে উন্নয়নের যাত্রা তা যথাযথ হোক। বাংলাদেশ ও সারা পৃথিবীতে শান্তি বয়ে আসুক এ কামনা করছি।’