বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গর্ভধারণে সহায়তা করে যে খাবারগুলো

  •    
  • ১ নভেম্বর, ২০২২ ১৫:৪৯

প্রজননক্ষমতা বাড়াতে দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবারের বিকল্প নেই। দই, মাখন, পনির এবং দুধ দিয়ে বানানো অন্যান্য খাবার শুক্রাণুর কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয়।

বাচ্চা হতে দেরি হওয়া অথবা না হওয়া ইদানীংকালের দম্পতিদের একটি সাধারণ সমস্যা। দেরিতে বিয়ে, ব্যস্ত জীবন, পরিবেশদূষণ, অনিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাবারসহ নানা কারণে নারী-পুরুষের প্রজনন সক্ষমতা কমে যাচ্ছে। ফলে সন্তান নিতে আগ্রহী দম্পতির মধ্যে বাড়ছে দুশ্চিন্তা।

তবে চিন্তার কিছু নেই, এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো নিয়মিত খেলে শুক্রাণু এবং ডিম্বাণুর উৎপাদন বাড়ার পাশাপাশি সন্তান ধারণের সম্ভাবনাও বাড়িয়ে দেয়। ভেরি ওয়েল ফ্যামিলি ওয়েবসাইটের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সেই খাবারগুলোর কথা। চলুন দেখে নিই।

সূর্যমুখীর বীজ

ভেজে সূর্যমুখীর বীজ খাওয়া একটি ভালো অপশন। তবে লবণ দেয়া যাবে না। সূর্যমুখীর বীজে আছে ভিটামিন ই। এই ভিটামিনটি শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি শুক্রাণুর গতিশীলতাও বৃদ্ধি পায়। সূর্যমুখীর বীজ ফোলেট এবং সেলেনিয়ামে পরিপূর্ণ, যা পুরুষ এবং নারীর উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ৷

সাইট্রাস ফল

কমলা, জাম্বুরা এবং আঙুরের মতো সাইট্রাস ফলে আছে ভিটামিস সি। প্রজনন স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য এই উপাদানটি খুবই জরুরি। এ ছাড়া এসব ফল থেকে পাওয়া যায় পলিমাইন পুট্রেসিন। ডিম এবং বীর্যের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এই উপাদানটি।

দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার

প্রজননক্ষমতা বাড়াতে দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবারের বিকল্প নেই। দই, মাখন, পনির এবং দুধ দিয়ে বানানো অন্যান্য খাবার শুক্রাণুর কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয়। যেসব নারী ডিম্বোস্ফোটনের সমস্যায় ভুগছেন, তারা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এগুলো খেতে পারেন। অনেকে চর্বিবিহীন দুধ খেতে পছন্দ করেন। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, সন্তান ধারণ করতে চাইলে পূর্ণ ননীযুক্ত দুধ খাওয়া সবচেয়ে ভালো।

গরুর কলিজা

কলিজা, বিশেষ করে গরুর কলিজা সবচেয়ে পুষ্টিকর খাবারগুলোর একটি। এতে আছে চর্বি এবং দ্রবণীয় ভিটামিন এ। প্রাকৃতিক ভিটামিনের চমৎকার উৎস হওয়ার পাশাপাশি কলিজায় আছে শোষণযোগ্য আয়রন। এই উপাদানটি গর্ভপাত এবং মাতৃত্বকালীন অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে কাজ করে। আছে ভিটামিন বি১২, যা লোহিত রক্তকণিকা এবং ডিএনএ সঠিকভাবে গঠনের জন্য প্রয়োজনীয়।

টমেটো

লাইকোপিন একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। টমেটোতে এই উপাদানটি প্রচুর পরিমাণ পাওয়া যায়। পুরুষের প্রজননক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে লাইকোপিন। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ৮ থেকে ১২ মাস ধরে প্রতিদিন ৪ থেকে ৮ মিলিগ্রাম লাইকোপিন গ্রহণ করলে শুক্রাণুর স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে এবং গর্ভধারণের হার বৃদ্ধি পায়।

ডাল এবং ডালজাতীয় খাবার

ডাল, মটরশুঁটিসহ এ-জাতীয় খাবারে আছে ফাইবার। তা ছাড়া এটি হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে কাজ করে। মসুর ডালে উচ্চ মাত্রার পলিমাইন স্পার্মিডিন থাকে, যা ডিম্বাণু নিষিক্ত করতে শুক্রাণুকে সাহায্য করে। মসুর ডাল এবং মটরশুঁটিতে প্রোটিনের পরিমাণও বেশি, যা ডিম্বস্ফোটন ঘটাতে সহায়তা করে।

ডালিম

ডালিম অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর একটি ফল, যা শুক্রাণুর গুণমান উন্নত করতে পারে। ২০১৪ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৭০ জন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ যাদের শুক্রাণুর পরিমাণ কম ছিল, তারা ডালিম খেয়ে ৬২ শতাংশ পর্যন্ত তাদের শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পেরেছেন।

ডিমের কুসুম

গর্ভধারণের ক্ষমতা বাড়াতে দারুণভাবে কাজ করে ডিমের কুসুম। এতে আছে আয়রন, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, ভিটামিন বি৬, ফোলেট এবং ভিটামিন বি১২। এটি চর্বিহীন প্রোটিনের একটি সস্তা উৎস। আগেই বলা হয়েছে, প্রোটিন পুরুষ এবং নারীর উর্বরতার ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ভালো।

আখরোট

আখরোট ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ একটি উৎকৃষ্ট খাবার। একটানা ১২ সপ্তাহ আখরোট খেলে শুক্রাণুর জীবনীশক্তি বাড়ে। আগের চেয়ে বেশি সক্রিয় হয় এবং পরিমাণে বৃদ্ধি পায়।

স্যালমন মাছ

স্যালমন মাছ একটি সুপার ফুড। এতে আছে ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ওমেগা–৩। এই উপাদানগুলো পুরুষ এবং নারীর সন্তান ধারণক্ষমতা বাড়াতে উপকারী।

এ বিভাগের আরো খবর