ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অনেকেই হাসপাতালে ছুটছেন, আবার অনেকে বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ জ্বরে আক্রান্ত হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে। এ রকম পরিস্থিতিতে রোগীর খাবারের দিকে নজর দেয়া না হলে শরীর আরও দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
কোন খাবারগুলো দ্রুত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে সুস্থ হয়ে উঠতে সাহায্য করে, চলুন দেখে নিই।
শাক-সবজি
ভিটামিন, প্রোটিন, আয়রনসহ দেহের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় শাক-সবজিতে। তাই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে প্রচুর শাক-সবজি খেতে দিন। পালংশাক, গাজর, টমেটো, মিষ্টিকুমড়ার মতো খাবার হতে পারে ডেঙ্গু রোগীর দ্রুত সেরে ওঠার কারণ।
ফল
রক্তে প্লাটিলেট বাড়াতে ভিটামিন ‘সি’ এবং ‘কে’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। লেবু, জাম্বুরা, কমলা, মাল্টার পাশাপাখি বেরি জাতীয় ফল (যেমন : স্ট্রবেরি, রাসবেরি, ব্লুবেরি) খেতে দিন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে। ব্যথা কমানোর জন্য বেদানার রস খাওয়ানো যেতে পারে।
ভেষজ উপাদান
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর খাবারে আদা রাখুন। এর বাইরে তুলসী, অশ্বগন্ধা, ঘৃতকুমারীর মতো ভেষজ খেতে দিন। এগুলোতে থাকা ভিটামিন ‘সি’ দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করবে।
পেঁপেপাতার রস
ডেঙ্গু রোগীদের রক্তে প্লাটিলেট বাড়াতে সাহায্য করে পেঁপেপাতার রস। খাওয়ার প্রক্রিয়াও খুব সহজ। পেঁপেপাতাকে বেটে রস বের করে নিন। কাপে করে খেতে দিন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে। চাইলে পেঁপেপাতা সেদ্ধ করে সেই পানিটাও খাওয়াতে পারেন।
মেথি
চিকিৎসকদের মতে, ডেঙ্গু জ্বরে ভুগতে থাকা রোগীকে আরাম দিতে পারে মেথি। সরাসরি চিবিয়ে অথবা ভেজে খাওয়া যায় ভেষজটি।
ডাবের পানি
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা দেখা দেয়। এ সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে ডাবের পানি। এতে রয়েছে অনেক উপকারী উপাদান। শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখার সঙ্গে সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায় ডাবের পানি।
বাদাম
প্লাটিলেট বাড়ানোর জন্য প্রোটিন প্রয়োজন। বাদাম হতে পারে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর প্রোটিনের উৎস। বাদাম সহজেই পাওয়া যায়। দামও ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে।
দই
দই প্রোবায়োটিক খাবার। এতে থাকা ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রকে ক্ষতিকর জীবাণুমুক্ত রাখতে কাজ করে। এটি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে দৈনিক ১৫০ গ্রাম দই খেতে দিলে দ্রুত রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারে।
গ্রিন টি
বিপুল পরিমাণে পলিফেনলযুক্ত গ্রিন টি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা যায়, গ্রিন টিতে থাকা ক্যাটেচিন নামের এক বিশেষ ধরনের ফেনোলিক যৌগ প্লাটিলেট বাড়াতে সহায়তা করে।