শুধু বিশেষ দিনে নয়। প্রতিদিন সন্ধ্যায় লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো। স্ক্রিনে ফুটে উঠবে কলকাতার ইতিহাস। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি অপেরার ঢঙে সেজে উঠবে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া ব্রিজ। কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের এই প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ভারতের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। খরচ হবে ৩৫ কোটি টাকা।
ব্রিটিশ আমলে তৈরি হাওড়া ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ। খাতা-কলমে রবীন্দ্র সেতু হলেও হাওড়া ব্রিজ নামেই সুপরিচিত কলকাতার এই ল্যান্ডমার্ক।
কলকাতা ও হাওড়ার মধ্যে সড়ক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে গঙ্গার ওপরে তৈরি হয়েছে এই সেতু।
২০০৬ সালে প্রথম হাওড়া ব্রিজকে আলোয় সাজিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকশিল্পী তাপস সেন। চিরাচরিত আলোর ব্যবহার ছেড়ে তাপস সেন সোডিয়াম ভেপারের আলোয় পাল্টে দিয়েছিলেন রাতের কলকাতা।
২০২০ সালে জানুয়ারি মাসে কলকাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বন্দরের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে হাওড়া ব্রিজের নতুন আলোকসজ্জা করা হয়। পরিবেশবান্ধব এই আলোকসজ্জা যে আন্তর্জাতিক সংস্থা করেছে, তারা আমেরিকার টেক্সাসের কপার্স ক্রিস্টি হার্বার ব্রিজ, সান ফ্রান্সিসকোর অকল্যান্ড ব্রিজসহ বিশ্বের একাধিক জায়গায় আলোর প্রকল্প তৈরি করেছে।
কলকাতা বন্দরের হেরিটেজের অ্যাডভাইজার গৌতম চক্রবর্তী জানান, ‘গত আড়াই বছর যে আলোকসজ্জা চলছে, সেখানে ৬৫০টি এলইডি পয়েন্ট রয়েছে। সেকেন্ডেরও কম সময়ে রং বদল করতে পারে। সৃষ্টি করতে পারে লাখ লাখ রঙের মিশ্রণ।'
এবার বন্দর কর্তৃপক্ষ হাওড়া ব্রিজের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য যে পরিকল্পনা করেছে, সেখানে প্রতিদিন সন্ধ্যায় দেখানো হবে লাইট ও সাউন্ড শো। ব্রিজের মাঝখানে এলইডি স্ক্রিনগুলো এমনভাবে বসানো হবে, যাতে খালি চোখে নজরে না পড়ে। দিনের বেলায় যাতে হাওড়া ব্রিজের রূপ বদল না হয় সে জন্য এই অদৃশ্য স্ক্রিন।
সন্ধ্যায় সেখানে লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের মাধ্যমে দেখানো হবে কলকাতার ইতিহাস। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি অপেরা যেমন পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে, সেভাবে হাওড়া ব্রিজ সেজে উঠবে এমন প্রত্যাশা কর্তৃপক্ষের।