বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চোখ ওঠা রোগের লক্ষণ ও ঘরোয়া চিকিৎসা

  •    
  • ১০ অক্টোবর, ২০২২ ১১:০০

চোখের সাদা অংশকে বলে কনজাংটিভা। চোখ উঠলে রোগীর কনজাংটিভা লাল অথবা টকটকে লাল দেখাবে। এটি এক চোখে কিংবা দুই চোখেই হতে পারে। সাধারণত প্রথমে এক চোখ আক্রান্ত হয়, তারপর অন্য চোখে ছড়িয়ে পড়ে।

চোখ ওঠা একটি জীবাণুঘটিত রোগ। শিশু থেকে বৃদ্ধ মোট কথা সব বয়সী মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। রোগটি তীব্রভাবে ছোঁয়াচে বলে পরিবারের একজন আক্রান্ত হলে অন্যরাও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন।

-

চোখ ওঠা রোগ যেভাবে ছড়ায়

চোখে ভাইরাস দিয়ে প্রদাহ হলে চোখের পানিতে ভাইরাস ভেসে বেড়ায়। রোগী যখন এই অশ্রু মুছতে যায়, তখনই এটি তার হাতে এসে যায়। এরপর সেই হাত দিয়েই যা কিছুই স্পর্শ করা হোক না কেন, সেখানে ভাইরাসটি চলে আসে। যেমন কারো সঙ্গে করমর্দন, টিভি-এয়ারকন্ডিশনার রিমোট, ব্যবহৃত তোয়ালে, বিছানার চাদর, বালিশের কভার এমনকি মুঠোফোন ইত্যাদিতে চলে আসতে পারে। রোগীর ব্যবহৃত এই বস্তুগুলো কোন সুস্থ ব্যক্তি স্পর্শ করলে তার দেহেও জীবাণুটি চলে যায়। এ জন্যই আক্রান্ত ব্যক্তিকে এই সময়ে বাসায় থাকতে পরামর্শ দেয়া হয়। তার ব্যবহৃত জিনিসপত্রও কিছুটা আলাদা রাখা হয়।

-

চোখ ওঠা রোগের লক্ষণ

চোখের সাদা অংশকে বলে কনজাংটিভা। চোখ উঠলে রোগীর কনজাংটিভা লাল অথবা টকটকে লাল দেখাবে। এটি এক চোখে কিংবা দুই চোখেই হতে পারে। সাধারণত প্রথমে এক চোখ আক্রান্ত হয়, তারপর অন্য চোখে ছড়িয়ে পড়ে।

চোখ উঠলে রোগীর চোখ চুলকাবে। জ্বালাপোড়া বা খচখচে ভাব হবে। কারও কারও ক্ষেত্রে চোখের ভেতরে কিছু আটকে আছে এমন মনে হতে পারে। চোখ থেকে বারবার পানি পড়বে। চোখের পাতায় পুঁজ জমবে, যা পাপড়িতে আঠার মতো লেগে থাকবে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর দেখা যাবে চোখের পাতা দুটো জোড়া লেগে আছে। চোখের পাতা খুলতে কষ্ট হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে চোখের পাতা লাল হয়ে ফুলে চোখ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসবে।

-

চোখ ওঠা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা

পর্যাপ্ত যত্ন নিলে চোখ ওঠা রোগ ৭-১০ দিনের মধ্যে সাধারণত ভালো হয়ে যায়।

নিয়মিত চোখের পাতা ও পাপড়ি পরিষ্কার করতে হবে। সে জন্য তুলা অথবা নরম সুতির কাপড় কুসুম গরম পানিতে ডুবিয়ে চেপে নিতে হবে। তারপর সেটা দিয়ে চোখের পাতা ও পাপড়ি পরিষ্কার করতে হবে। দিনে কয়েকবার এটি করা যেতে পারে। দুটি চোখের জন্য আলাদা কাপড় বা তুলা ও পানির পাত্র ব্যবহার করতে হবে।

গরম ছ্যাঁক দেয়ার বেশ কিছুক্ষণ পর বরফ অথবা ঠান্ডা পানিতে কাপড় অথবা তুলা ডুবিয়ে ঠান্ডা ছ্যাঁক দেয়া যেতে পারে।

চোখের ওপর চাপ পড়ে এমন কোনো কাজ এ সময় করা যাবে না। যেমন বেশিক্ষণ মোবাইল বা কম্পিউটারে থাকা এবং ছোট ছোট লেখা পড়া।

-

চোখ ওঠা রোগের কুসংস্কার

আক্রান্ত রোগীর চোখের দিকে তাকালে কনজাংটিভাইটিস বা চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত হবে- এমন একটি ধারণা আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে। এটি পুরোপুরি ভুল। চোখ ওঠা রোগীর চোখের দিকে তাকালে এই রোগ হয় না।

এ বিভাগের আরো খবর