একে একে ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী আর নবমী নিশি পার করে এলো বিজয়া। মর্ত্য থেকে কৈলাসে ফিরবেন উমা তথা দেবী দুর্গা।
ঢাকাসহ সারা দেশে সব মণ্ডপে দেবীকে বিদায় দিতে হবে বুধবার।
সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরের পুরোহিত ননী গোপাল গাঙ্গুলী নিউজবাংলাকে জানান, সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটের মধ্যে দশমী বিহিত পূজা শেষে দর্পণ-বিসর্জন দেয়া হয়। বিকেল ৩টায় বিজয়া দশমী উপলক্ষে আয়োজন করা হবে শোভাযাত্রার।
মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রমেন মণ্ডল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিজয়ার দিনে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে বুধবার সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটের মধ্যে দশমীর বিহিত পূজা এবং পূজা শেষে দর্পণ-বিসর্জন করা হয়। দুপুর ১২টায় রয়েছে স্বেচ্ছায় রক্তদান। বিকেল ৪টায় বিজয়া শোভাযাত্রা।’
দুর্গাপূজা শেষ হয় বিজয়া দশমীর মাধ্যমে। তাই ‘দশমী’ কথাটির মধ্যে রয়েছে আবেগ, কষ্ট। শনিবার ষষ্ঠীতে দেবী কৈলাস ছেড়ে সপরিবারে এসেছিলেন মর্ত্যে। দশমী তিথিতে দেবী ফিরবেন কৈলাসে।
আজকের দিনেই দুর্গার প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হবে এবং শুরু হবে এক বছরের অপেক্ষার পালা।
শাস্ত্র অনুযায়ী, টানা যুদ্ধ করে দশম দিনে দেবী মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। এ জন্য একে বিজয়া দশমী বলা হয়ে থাকে।
পূজা কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সকাল ১০টায় শুরু হয় সিঁদুরখেলা। এ সময় নারীরা দেবী দুর্গাকে পান ও মিষ্টিমুখ করান। একে অপরের সঙ্গে মেতে ওঠেন সিঁদুরখেলায়।
পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রনাথ পোদ্দার বলেন, ‘বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনে যেন কোনো বিশৃঙ্খলা না হয়, এ জন্য মন্দিরগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সারা দেশে স্থানীয় আয়োজন ও সুবিধামতো সময়ে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হবে, তবে ঢাকা মহানগরীতে বিকেল ৩টার পর থেকে বিসর্জন শুরু হবে।’
পুরাণ অনুযায়ী, এবার দেবী মর্ত্যে এসেছেন গজে চেপে। এর অর্থ হলো সুখ ও সমৃদ্ধি বয়ে আনা।
দেবী মর্ত্য ছাড়ছেন নৌকায় চড়ে। এর ফলে ধরণি হবে শস্যপূর্ণ, তবে থাকবে অতিবৃষ্টি বা বন্যা।
সারা দেশে এবার দুর্গাপূজার মণ্ডপ ৩২ হাজার ১৬৮টি। গত বছরের তুলনায় এবার মণ্ডপ বেড়েছে ৫০টি। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরে ২৪১টি মণ্ডপে পূজা উদযাপন করা হচ্ছে।