চিহুয়াহুয়া প্রজাতির কুকুরটিকে ভালোবেসে নাম দেয়া হয়েছে ‘বেলে’। ব্রিটিশ নারী আমান্ডা গোম্মোর মেয়ের পালন করা কুকরটি বাড়ি মাতিয়ে রাখে সারাক্ষণ। ওর দুষ্টুমি আমান্ডার মনকেও জয় করে নিয়েছিল।
তাই বলে বেলে যে এমন অপকর্ম ঘটিয়ে বসবে ঘূর্ণাক্ষরেও মাথায় আসেনি মা-মেয়ের।
আমান্ডার ক্ষোভ-বিস্ময় এখনও কাটছে না। ভাবতেই পারছেন না, কেন এমন দুর্মতি হয়েছিল বেলের। যাকে আদর-যত্নে আগলে রেখেছিলেন সেই কুকরই কিনা মলত্যাগের জায়গা হিসেবে বেছে নিল তার মুখ!
ঘুমিয়ে থাকায় ককুরের সেই মল বিনা বাধায় পৌঁছে যায় আমান্ডার পেটে। এরপর যা হওয়ার কথা, তাই হয়েছে। পেটে সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ছুটতে হয়েছে কুকুরপ্রেমী এই নারীকে। পুরোপুরি সুস্থ হতে লেগেছে তিনটি দিন।
আমান্ডা গোম্মো সাউথ ওয়েস্ট নিউজ সার্ভিসকে (এসডাব্লিউএনএস) জানিয়েছেন সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, ‘আমি ও বেলে প্রতিদিনের মতো দুপুরে ঘুমাচ্ছিলাম। কোনো এক কারণে সে সময় ও (বেলে) মারাত্মক ডায়েরিয়ায় ভুগছিল।
‘সে যাই হোক, ঘুমের সময়ে আমি হা করে ছিলাম। হঠাৎ ধড়মড় করে জেগে দেখি, বেলে আমার মুখের মধ্যে মলত্যাগ করে দিয়েছে।’
এর পরের কয়েক ঘণ্টায় আমান্ডার পেটে ব্যথা তীব্র হয়ে ওঠে। পরিপাকতন্ত্রের সংক্রমণ নিয়ে শেষপর্যন্ত তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।
অবিশ্বাস্য বিভীষিকার মধ্যে দিয়ে যাওয়া আমান্ডা বলছিলেন, ‘বেলে খুব জঘন্য কাজ করেছে। আমি পরের কয়েক ঘণ্টা পাগলের মতো আচরণ করেছি। মুখ থেকে কুকুরের মলের স্বাদ কোনোভাবেই দূর করা যাচ্ছিল না।’
ঘটনার পর আমান্ডার মেয়ে বেলেকে প্রাণীচিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়ে কিছু পরীক্ষার পর যা জানতে পারেন সেটি পরিস্থিতিকে আরও উৎকণ্ঠার দিকে নিয়ে যায়। কুকুরটির পেটে কৃমিজাতীয় পরজীবীর অস্তিত্ব ধরা পড়ে।
আতংকিত আমান্ডার পেটে ব্যথা দূর করতে শুরুতে কিছু ওষুধ ও প্রচুর তরল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। তবে এতে কাজ না হওয়ায় দিন কয়েক পর তাকে কাছের এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিন দিন চিকিৎসা শেষে মোটামুটি সুস্থ হন এই নারী।
আমান্ডা বলেন, ‘অসুস্থতা ও ডায়রিয়ার কারণে আমি প্রচণ্ড পানিশূন্য হয়ে পড়েছিলাম। হাসপাতাল থেকে বলা হয়, মুখে কুকুরের মলত্যাগের কারণে আমি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সংক্রমণে ভুগছি এবং এমন ঘটনা এর আগে চিকিৎসকেরা কখনও শোনেননি।‘
সুখবর হলো আমান্ডার মেয়ের পোষা কুকুরও এখন ভালো আছে, বেশ কিছু এন্টিবায়োটিক ওর পেটের সমস্যাও দূর করে দিয়েছে।