টেকসই উন্নয়নের শক্তিশালী মাধ্যম পর্যটন। তবে এই পর্যটনের বিকাশে প্রকৃতি সংরক্ষণ ও পর্যটন অঞ্চলের বিশেষ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় গুরুত্ব দিতে হবে।
বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে এক বিশেষ বাণীতে এমন অভিমত প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সোমবার জাতিসংঘ সদর দফতর থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমন অভিমত তুলে ধরা হয়।
বিশ্ব সংস্থাটির মহাপরিচালক অ্যান্তোনিও গুতেরেস বাণীতে বলেন, ‘বিশ্ব পর্যটন দিবসের অন্তর্ভুক্তি প্রকৃতি সংরক্ষণ ও সাংস্কৃতিক বোঝাপড়াকে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে পর্যটনের ক্ষমতা তুলে ধরে।
‘টেকসই উন্নয়নের শক্তিশালী এক চালক হল পর্যটন। শিক্ষা, নারী ও তরুণ জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন এবং আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে পর্যটন অবদান রাখে। সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থায় এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা পুনরুদ্ধার ও সমৃদ্ধির ভিত্তি গড়ে দেয়।’
গুতেরেস বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই পরিচ্ছন্ন ও টেকসই পর্যটনে বিনিয়োগ করতে হবে। এর মাধ্যমে এই খাতে জ্বালানি খরচ কমাতে হবে। কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনার পথে হাঁটতে হবে। জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে হবে।
‘মর্যাদাপূর্ণ কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং পর্যটন রাষ্ট্র ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী যেন লাভবান হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। শিল্প যুগের আগের তুলনায় বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ধরে রাখতে এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সরকার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ভোক্তাদের অবশ্যই পর্যটন অনুশীলন করতে হবে। এর ওপর এই শিল্প এবং স্মল আইল্যান্ড ডেভেলপিং স্টেটসের (উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র) মতো পর্যটন আকর্ষী ভূখণ্ডগুলোর টিকে থাকা নির্ভর করছে।’
বাণীতে জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘এ বছর জাতিসংঘ মহাসাগর সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এই সম্মেলনে বৈশ্বিক সম্প্রদায় ও পর্যটন খাত ২০২৪ সালের মধ্যে প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে আইনি কাঠামো তৈরির লক্ষ্যে চুক্তির বিষয়ে একমত হয়েছে।
‘অপচয় করার মতো সময় নেই। আসুন, আমরা নতুন করে চিন্তা করি এবং পর্যটন খাতকে নতুন করে গড়ে তুলি। আমরা একসঙ্গে সবাইকে আরও বেশি টেকসই, সমৃদ্ধ ও স্থিতিস্থাপক ভবিষ্যৎ উপহার দেই।’