সহজলভ্য ফলের মধ্যে ডাব অন্যতম। ডাবের পানির উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ প্রচুর। হেলথলাইন ওয়েবসাইটের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ডাবের পানির উপকারিতার কথা। চলুন দেখে নেই।
-
ডাবের পানিতে ক্যালসিয়াম, খনিজ লবণ, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাসের উপস্থিতি উচ্চমাত্রায়। এসব খনিজ লবণ আমাদের দাঁতের ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়। দাঁত ও মাড়িকে করে মজবুত। অনেকের দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে, মাড়ি কালচে লাল হয়ে যায়। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ দেয় খনিজ লবণ।
আমাদের দেহে ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়ামের অভাব হলে কিংবা নানা ধরনের অসুখ-বিসুখ হলে ডাক্তার ডাবের পানি পান করার পরামর্শ দেন৷ এর কারণ ডায়রিয়া বা কলেরা রোগীদের ঘনঘন পাতলা পায়খানা ও বমি হয়। ফলে দেহে পানি ও খনিজ পদার্থের ঘাটতি দেখা যায়৷ এই ঘাটতি পূরণের জন্য ডাবের পানি অনেকাংশেই কাজ করে।
আমাদের শরীরে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। নিয়াসিন রাইবোফ্লবিন, থিয়ামিন ও পাইরিডোক্সিনের মতো উপকারী উপাদানে ভরপুর ডাবের পানি। প্রতিদিন এই পানি পান করলে শরীরের ভেতরের শক্তি বৃদ্ধি পায়। ফলে জীবাণুর বিরুদ্ধে শরীর ভালোভাবে কাজ করে।
গ্রীষ্মকালীন গরমে ছোট-বড় সবারই দেহের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক তাপমাত্রা বেড়ে যায়। ফলে ত্বকে ফুটে ওঠে লালচে কালো ভাব। ডাবের পানি দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা কমিয়ে শরীরকে রাখে ঠান্ডা। তারুণ্য ধরে রাখতে এর অবদান অনেক। ডাবের পানি যেকোনো কোমল পানীয় থেকে অধিক পুষ্টিসমৃদ্ধ। এর কারণ এটি চর্বিবিহীন পানীয়। ডাবের পানি সামান্য মিষ্টি হওয়া সত্ত্বেও ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য উপকারী।
যাদের মুখে জলবসন্তের দাগসহ বিভিন্ন ছোট ছোট দাগ রয়েছে ,তারা সকালে ডাবের পানি মুখে লাগালে দাগ চলে যায় এবং মুখের লাবণ্য ও উজ্জ্বলতা ফিরে আসে।
ডাবের পানিতে আছে সাইটোকিনিস নামে একটি অ্যান্টি-এজিং উপাদান, যা শরীরের ওপর বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
ডাবের পানিতে বিদ্যমান অ্যামাইনো অ্যাসিড ও ডায়াটারি ফাইবার ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।