বাঙালি জাতির প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রাম ও অর্জনে বরাবরই বিশেষ ভূমিকা রেখে এসেছেন এদেশের শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীরা। নাটক, সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি, চিত্রকর্মসহ শিল্পের সব শাখার মাধ্যমে তাঁদের অবদান অপরিসীম।
হাজার বছরের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের লালন, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আজও কাজ করে যাচ্ছেন শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীরা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে তারা নিঃস্বার্থভাবে অবদান রেখে চলেছেন।
দেশের শিল্প-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ে বিশেষ অবদানের জন্য গুণীজনদের অবদানকে সম্মান ও স্বীকৃতি জানাতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে ২০১৩ সাল থেকে দেয়া হচ্ছে ‘শিল্পকলা পদক’।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ‘শিল্পকলা পদক ২০১৯ ও ২০২০’ দেয়া হচ্ছে ১৮ গুণী ব্যক্তিত্ব ও দুটি সংগঠনকে।
শিল্পকলা একাডেমি মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে পদক বিতরণ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
বিশেষ অতিথি থাকবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। স্বাগত বক্তব্য দেবেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। আলোচনা ও পদক প্রদান শেষে শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
নীতিমালা অনুযায়ী ১৬ সদস্যের কমিটি প্রতি বছর পদকের জন্য মনোনীতদের নির্বাচন করে থাকে। ‘শিল্পকলা পদক’-এর জন্য মনোনীত ব্যক্তি/ব্যক্তিদের প্রত্যেককে একটি করে স্বর্ণপদক, সনদ ও এক লাখ টাকার চেক প্রদান করা হবে।
পদক প্রদানের জন্য তালিকাভুক্ত ক্ষেত্র ১০টি হলো- কণ্ঠসঙ্গীত, যন্ত্রসঙ্গীত, নৃত্যকলা, নাট্যকলা, চারুকলা, আবৃত্তি, ফটোগ্রাফি, যাত্রাশিল্প, চলচ্চিত্র ও লোকসংস্কৃতি, সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন/সংগঠক এবং সৃজনশীল সাংস্কৃতিক গবেষক।
করোনা মহামারির কারণে ‘শিল্পকলা পদক’-এর অনুষ্ঠান স্থগিত থাকায় এ বছর ২০১৯ ও ২০২০ দুই বছরের পদক একসঙ্গে দেয়া হচ্ছে।
২০১৯ সালে যারা শিল্পকলা পদক পেয়েছেন
নাট্যকলায় মাসুদ আলী খান, কণ্ঠসঙ্গীতে হাসিনা মমতাজ, চারুকলায় আবদুল মান্নান, চলচ্চিত্রে অনুপম হায়াৎ, নৃত্যকলায় লুবনা মারিয়াম, লোকসংস্কৃতিতে শম্ভু আচার্য, যন্ত্রসঙ্গীতে মো. মনিরুজ্জামান, ফটোগ্রাফিতে এম এ তাহের, আবৃত্তিতে হাসান আরিফ ও সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন ক্যাটাগরিতে ছায়ানট।
২০২০ সালে যারা পদক পেয়েছেন
নাট্যকলায় মলয় ভৌমিক, কণ্ঠসঙ্গীতে মাহমুদুর রহমান বেনু, চারুকলায় শহীদ কবীর, চলচ্চিত্রে শামীম আখতার, নৃত্যকলায় শিবলী মোহাম্মদ, লোকসংস্কৃতিতে শাহ আলম সরকার, যন্ত্রসঙ্গীতে মো. সামসুর রহমান, ফটোগ্রাফিতে আ ন ম শফিকুল ইসলাম স্বপন, আবৃত্তিতে ডালিয়া আহমেদ ও সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন ক্যাটাগরিতে দিনাজপুর নাট্য সমিতি।